ভারতকে নিয়ে ইতিমধ্যে ড. কামাল যেসব মন্তব্য করেছেন, তার জবাব দেবে ভারত সরকার ও ইন্ডিয়ান হাইকমিশনার অফিস বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) ফেনী মাইজদির আঞ্চলিক মহাসড়কের উন্নয়নকাজ পরিদর্শনকালে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে নির্বাচনী প্রচার শেষ হয়েছে। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের লাঠিসোটা নিয়ে কেন্দ্রে কেন্দ্রে অবস্থান করার জন্য বলা হচ্ছে। তবে আমরা তাদের এ উসকানিতে পা দেব না। কারণ কেন্দ্রের শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। তারা ইতিমধ্যে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এবারের ভোট-বিপ্লব হবে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে। এই ভোট-বিপ্লবের মধ্য দিয়ে আমরা বিপুল ভোটে বিজয়ী হব। সন্ত্রাস-দুর্নীতি ও অপশক্তির বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে গড়তে মহাজোটের বিকল্প নেই।
এদিকে বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যম সাউথ এশিয়ান মনিটরকে দেয়া এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে ড. কামাল হোসেন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আওয়ামী লীগকে ভারত সমর্থন দেয়া অব্যাহত রাখলে বাংলাদেশের গণতন্ত্রায়ণ প্রক্রিয়া ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে ভারত।
ড. কামাল হোসেনের এই মন্তব্যের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ভারতকে নিয়ে ইতিমধ্যে ড. কামাল যেসব মন্তব্য করেছেন, তার জবাব দেবে ভারত সরকার ও ইন্ডিয়ান হাইকমিশনার অফিস।
কাদের আরো বলেন, আমার বিশ্বাস-১৯৭০ সালের পর নির্বাচনের এমন গণজোয়ার আর কখনও দেখা যায়নি। এমন জোয়ার দেখে মনে হচ্ছে-এবার নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নির্বাচন।