বরগুনার তালতলী উপজেলার শারিকখালী ইউনিয়নের কচুপাত্রা বাজারের ১২ টি দোকানে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। (১৪ জুন) সোমবার রাত ৯ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
কচুপাত্রা বাজারে কসমেটিকসের একটি দোকানে গত চার পাঁচ দিন ধরে বন্ধ ছিল ওই দোকানের মালিক কসমেটিকসের মাল আনতে ঢাকায় গেছে। তাদের ধারণা ওই দোকানে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের আগুন লেগেছে যার কারণে আশেপাশের প্রায় ১২ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে আগুন জ্বলছিল পরে স্থানীয়রা দেড় ঘন্টা ধরে চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে ফায়ার সার্ভিস পৌঁছে গেলেও কোনো কাজে আসেনি। ঠিক সময় মত ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে আসলে ক্ষতি অনেকটা কম হতো বলে জানান স্থানীয়রা।
শারিকখালী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বাদশা তালুকদার বলেন, ফায়ার সার্ভিসের গাফিলতির কারণে ক্ষতি অনেক বেশি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস আসতে আসতে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। তিনি আরো বলেন, কচুপাত্রা ব্রিজের পশ্চিম দিক থেকে প্রায় ১২ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে।
আগুন লাগার বিষয়টি জানতে পেরে ওই দিন রাতেই তালতলী উপজেলা নির্বাহি অফিসার (ইউএনও), উপজেলা চেয়ারম্যান ও তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা বলেন, মুহূর্তের মধ্যে দাউদাউ করে আগুন দ্রুত পাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। বাজারে থাকা লোকজনের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। প্রায় দেড় ঘন্টা পরে স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পৌঁছাতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে স্থানীয়রা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সঠিক সময় ঘটনাস্থলে আসেননি যার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশের প্রায় ১২ টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনে কসমেটিকস, মুদি দোকান,কাপুরের দোকান সহ ওষুধের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে দোকানগুলোতে থাকা নগদ টাকা ও মূল্যবান মালামাল পুড়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আমতলী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার তামিম হাসান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমতলী – তালতলী মহা সড়কের রাস্তার খুবই খারাপ অবস্থা রাস্তার মধ্যে বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে তার পরেও আমরা দ্রুত আসার চেষ্টা করছি। আমরা যখন খবরটি পেয়েছি তার প্রায় পঁচিশ, ত্রিশ মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গেছি। আমাদের দুইটি ইউনিট কাজ করেছে স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের সহযোগিতায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।