এ টি এম শামসুজ্জামান ভাই এখন শঙ্কামুক্ত আছেন। গতকাল শনিবার দুপুর দেড়টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তাঁর পায়ুপথে অস্ত্রোপচার করা হয়। টানা তিন ঘণ্টা অস্ত্রোপচার শেষে উনাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। আজ রাতে তাঁকে কেবিনে নেওয়া হবে। এনটিভি অনলাইনকে এমন খবর জানিয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।
জায়েদ খান আরো বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। ডাক্তার বলেছেন, এ টি এম শামসুজ্জামান ভাই এখন ঝুঁকিমুক্ত।’
মলমূত্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গত শুক্রবার রাতে অসুস্থ বোধ করেন এ টি এম শামসুজ্জামান। শ্বাসকষ্টও শুরু হয় তাঁর। এরপর শুক্রবার রাত ১১টায় পুরান ঢাকার আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৮৮ বছর বয়সী এই অভিনেতাকে।
১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে ঢালিউডে যাত্রা শুরু হয় এ টি এম শামসুজ্জামানের। ‘জলছবি’ ছবিতে প্রথম কাহিনী ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে কাজ করেছেন তিনি।
১৯৬৫ সালের দিকে অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ১৯৭৬ সালে আলোচনায় আসেন তিনি।
২০১৫ সালে শিল্পকলায় অবদানের জন্য রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা একুশে পদক পান গুণী এই অভিনেতা। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন পাঁচবার।
এ টি এম শামসুজ্জামান অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হলো ‘লাঠিয়াল’, ‘সূর্য দীঘল বাড়ি’, ‘দায়ী কে?’, ‘ম্যাডাম ফুলি’, ‘চুড়িওয়ালা’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’, ‘মোল্লা বাড়ির বউ’ ইত্যদি।