দুর্গাপুর(নেত্রকোনা)প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় সরকারি পুকুর ভরাট করে চলছে গৃহনির্মান। দুর্গাপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড‘র বেলতলী এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
এ নিয়ে শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, ওই এলাকার বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের একমাত্র রাস্তা সরকারি বেলতলি খাল। দীর্ঘদিন ধরে নানা ভাবে দখল হতে থাকলেও বর্তমানে খালের পাশের্^র পুকুর ভরাট করে চলছে আবাসন নির্মান। এ অবস্থা চলতে থাকলে বন্ধ হয়ে যাবে এলাকার পানি চলাচলের একমাত্র পথ। ওই এলাকায় বসবাসরত স্থানীয়রা জানান, মোঃ মঞ্জু মিয়া বিগত ২০০৩ সালে স্থানীয় বিদ্যানিকেতন স্কুল সংলগ্ন সরকারি পুকুরের দক্ষিন পাড়ে বসবাসরত ভুমিহীন আঃ কুদ্দুছ কে ভয়-ভীতি দেখিয়ে রাতের আধারে ৪ শতাংশ ভূমি দখলে নেন। মুলত তার মূল দৃষ্টি থাকে উত্তরের সরকারি পুকুরের দিকে। পরবর্তিতে দখলকৃত স্থানে বসবাস করা কালীন ধীরে ধীরে বালু ও মাটি ফেলে সরকারি পুকুরটি ভরাট করতে থাকেন। এ নিয়ে স্থানীয়রা প্রশাসনের সহায়তায় বেশ কয়েকবার মঞ্জু মিয়াকে পুকুর ভরাট করা থেকে বিরত রাখার চেষ্টা করলেও কিছুদিন যেতে না যেতেই পুনরায় শুরু করেন পুকুর ভরাটের কাজ। সরকারী সম্পত্তি রক্ষায় প্রশাসনের কোন নজরদারী না থাকায় কোন স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহন না করায় পুকুরটি এখন অনেকটাই মঞ্জু মিয়ার দখলে চলে যায়। সাধুপাড়া সহ ওই ওয়ার্ডের শত শত পরিবার আজ জলাবদ্ধতার মুখে রয়েছে। পৌর এলাকায় কোন জলাশয় মালিকানা থাকলেও তা ভরাট করা যাবেনা মর্মে বিধান থাকলেও ঐ বিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মঞ্জু মিয়া চালিয়েছেন দখলের কার্যক্রম। সরকারী সম্পত্তি ও জন দূর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা।
ভুমি দখল নিয়ে মঞ্জু মিয়ার সাথে মুঠোফোনে কথা বলতে চাইলে তিনি সাংবাদিক জেনে কথা না বলে তার মুঠোফোন বন্ধ করে দেন।
এ নিয়ে সহকারী কমিশনার ভুমি রুয়েল সাংমার সাথে কথা বল্লে তিনি বলেন, কোন অবস্থাতেই সরকারি ভুমি বেহাত হতে দেয়া যাবে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।