ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ, নওগাঁ ::
নওগাঁয় একই দিনে দুই মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধ’র্ষণের ঘটনায় দুই ধ’র্ষককে গ্রে’ফতার করেছে থানা পুলিশ। এ ঘটনায় বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় পৃথক দুটি ধ’র্ষণ মা’মলা করেছেন ধ’র্ষিতাদের মা। পরে পুলিশ আসামীদের নওগাঁ জেলা কোর্টে হাজির করলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধ’র্ষণের জবানবন্দী দেন ও ধ’র্ষকদের জেলখানায় প্রেরণ করেন।
ধামইরহাট থানা পুলিশ, স্থানীয় এলাকাবাসী ও মা’মলার অ’ভিযোগ সূত্রে প্রকাশ, ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার উপজেলার বড়থা ডিআই ফাজিল মাদ্রাসার ৭ম শ্রেনির শিক্ষার্থী কাজীপুর গ্রামের মেয়ে (১৩) দুপুর ১২ টায় মাদ্রাসা ছুটির পরে বাড়ি ফেরার পথে বড়থা-কাজিপুর বিশাল ধান ক্ষেতের মাঠে বড়থা গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে হেলাল হোসেন (২৫) তাকে একা পেয়ে জোর পূর্বক ধ’র্ষণ করে।
এ সময় মেয়েটির চিৎকার শুনে জনৈক কৃষক এগিয়ে আসলে ধ’র্ষক পালিয়ে যায়। ভিকটিম প্রাণভয়ে বাড়ি এসে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে স্থানীয় বাচ্চু ডাক্তারের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে জ্ঞান ফিরলে মেয়েটি তার পরিবারকে ঘটনার বিষয় জানালে পরিবার থানা পুলিশে খবর দেয়।
থানা পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় ধ’র্ষক হেলালসহ ভিকটিমকে রাত ৮ টার দিকে থানায় নিয়ে যায়। ভিকটিমের মা ফেরদৌসি বাদী হয়ে ধামইরহাট থানায় ধ’র্ষণ মা’মলা দায়ের করেন। অপরদিকে, উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নের বৈদ্যবাটি এলাকায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে মৃত প্রতিবেশীকে দেখতে যায় সাহাপুর মাদ্রাসার ৯ম শ্রেনির শিক্ষার্থী (১৭)।
এ সময় মেয়েটিকে একা পেয়ে একই গ্রামের সাবের আলীর ছেলে মাহফুজুর রহমান (২৮) প্রতিবেশীর বাড়িতে কৌশলে ডেকে নিয়ে প্রতিবেশীর ঘরের ভেতর জোর পূর্বক ধ’র্ষণ করে। মেয়েটির চিৎকারে স্থানীয়রা ধ’র্ষক মাহফুজুরকে হাতে নাতে আ’টক করে থানা পুলিশে খবর দেয়। থানা পুলিশ তাদের আ’টক করে থানায় নিয়ে আসলে ভিকটিমের মা মুরশিদা বেগম ধ’র্ষকের বি’রুদ্ধে মা’মলা দায়ের করেন।
ধামইরহাট থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুব আলম উপরোক্ত ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পৃথক দুটি ধ’র্ষণের মা’মলা হয়েছে। দুই ধ’র্ষককে গ্রে’ফতার করে শুক্রবার নওগাঁ কোর্টে প্রেরণ করা হয়।
তিনি আরো জানান, আসামিরা ধ’র্ষণের কথা স্বীকার করেন আদালতে। পরে আদালত আসামীদের জেলা কা’রাগারে প্রেরণ করেন।
‘বিদ্রঃ সমকালনিউজ২৪.কম একটি স্বাধীন অনলাইন পত্রিকা। সমকালনিউজ২৪.কম এর সাথে দৈনিক সমকাল এর কোন সম্পর্ক নেই।’