নরসিংদীর শিবপুরের দরিদ্র গরীব অসহায় ভিজিডি কার্ডধারীদের সঞ্চয়কৃত প্রায় ৫লক্ষ টাকা হিসাবরক্ষক,ইউপি সদস্য ও গ্রাম পুলিশের পকেটে। ঘটনাটি ঘটেছে শিবপুর উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়ন পরিষদে । অনুসন্ধানে পাওয়া যায়, ২০১৭/২০১৮ অর্থ বছরে ইউনিয়নে মোট ১৭৫ জন ভিজিডি কার্ডধারী রয়েছে । তাদের মোট ৮লক্ষ ৪০ হাজার টাকা ২ বছরে ব্যাংকে জমা হওয়ার কথা ছিল । কিন্ত এখন পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ টাকা জমা হয়নি । প্রতিটি কার্ডধারী এনজিও (ইউইআরডি) পাস বইয়ের মাধ্যমে (২ বছর মেয়াদী) প্রত্যেক মাসে চাউল নিতে এসে ২ শত টাকা সঞ্চয় করতেন ।
উক্ত উত্তোলনকৃত টাকা স্ব স্ব ইউনিয়নের চেযারম্যান ও সচিবের স্বাক্ষরে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক শিবপুর শাখায় নির্বাহী কর্মকর্তা ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার যৌথ স্বাক্ষরে সঞ্চয়ী রশিদ মারফৎ জমা দেওয়া হয় । দুলালপুর ইউনিয়নে সঠিক নিয়মে টাকা ব্যাংকে নিয়ন জমা না করে দুলালপুর ইউনিয়নের গরীব অসহায় কার্ডধারীদের প্রায় ৫ লাখ টাকা বহুদিন পেড়িয়ে গেলে ও ব্যাংকে জমা না করে ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর মোঃ হাবিব মিয়া,গ্রাম পুলিশ নুরুল ইসলাম,ইউপি সদস্য তাইলবুল ও আনারুল আত্মসাৎ করেছে বলে জানায় বিজিডি কার্ডধারি সদস্যরা। ডিসেম্বর মাসে বিজিডি চাউল বিলের মাধ্যমে ২ বছর পুর্ণ হয়েছে ২০১৭/২০১৮ অর্থ বছরের কার্ডের মেয়াদ ।
অবশেষে গত ১৯ই ফেব্রুয়ারি সর্বপ্রথম দুলালপুর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে ১৭৫জন সদস্যের টাকা বন্টন শুরু করেন হাবিব,নুরুল ইসলাম,ইউপি সদস্য তাইবুল ও আনারুল ইসলাম,অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে তারা টাকা ব্যাংকে জমা না দিয়ে নিজেই প্রায় ৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। যা সরকারী বিধি পরিপন্তি ।
এনিয়ে কম্পিউটার অপারেটর হাবিব কোন এনজিও মাধ্যেমে ব্যাংকে টাকা জমা হয়েছে সে বলেনি,সে জানায় ৬মাস যাবৎ আমি টাকা জমা রেখেছি কত রেখেছে তার কোন হিসাব দিতে পারেনি,এনজিও প্রতিনিধির কোন নাম বলেনি,সে গনমাধ্যমের কর্মীদের ভূল তথ্য দিয়ে হয়নারি করে,পরে সে জানায় চিনিশপুর সমিতিতে টাকা জমা দিয়েছে,সরেজমিনে গেলে সমিতির কতৃপক্ষ্যের মোবাইল নাম্বার চাইলে সে দিতে অস্বীকার করে, দেয়নি,।
গ্রাম পুলিশ নুরুল ইসলাম জানায়,আমি টাকা কালেকশন করে হাবিব ও ইউপি সদস্যদের দিয়েছি,ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুল হক মেরাজ ঘঠনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন আমার আগের চেয়ারম্যান নাজির ছিল,আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর সদস্যরা আমাকে জানায় হাবিব,নুরুল ইসলাম,তাইবুল ইসলাম,আনারুল টাকা আত্নসাৎ করেছে,তবে সুষ্ট তদন্তের মাধ্যমে গরীবের টাকা ফিরিয়ে দেবার জন্য সহযোগিতা করব,তিনি আরো জানান গরীব মানুষ লেখাপড়া জানেনা তারা টাকা জমা না দিয়ে টাকা নিজের পকেটে রেখেছে বলে আমি অভিযোগ পেয়েছে,আমরা বসে সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি।