দীর্ঘ তিন মাস দশ দিন নিখোঁজ থাকার পর বেকারী কর্মচারী সোহেল বাড়ি ফিরেছেন।
গতকাল রাতে তিনি তার নানার বাড়ি ফিরেছে এমন খবর পেয়ে মা তাদের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন সোহেলকে এমনটি তথ্য জানিয়েছেন কর্ণফুলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. রফিকুল ইসলাম।
প্রতিবেদকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমরা শুনেছি সোহেল বাসায় ফিরেছেন। বিষয়টি জানার পর যে দোকান হতে নিখোঁজ হন সেই বেকারী মালিক নিজাম ও আমি তাদের বাসায় গিয়ে স্বচক্ষে দেখে কথা বলে আসলাম। প্রায় তিন মাস ১০ দিন পর তিনি বাসায় ফিরে আসেন এবং সুস্থ্য রয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে আরো জানায়, নিখোঁজের জিডি থানায় লিপিবদ্ধ থাকায় ফিরে আসা সোহেল ও তার পরিবারকে আজ সন্ধ্যায় কর্ণফুলী থানায় আসতে বলা হয়েছে।
যদিও বেকারী মালিক ও আশপাশের লোকজন সোহেল এর কাছে জানতে চান, এতদিন তিনি কোথায় ছিলেন, কে বা কারা তাকে নিয়ে গিয়েছিল-সে বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি। অনেকটা থাকে বিমর্ষ আর অসংলগ্ন কথা বলতে দেখা যায়। তিনি একবার বলেন ভারতে ছিলেন আবার বলেন বেনাপোল। কিভাবে গেছেন জানতে চাইলেও তার কথার সাথে তথ্যের কোন মিল পাওয়া যাচ্ছেনা বলে স্থানীয়রা জানান।
তথ্যসূত্রে, গত ৩ মাস পুর্বে ১৫ জানুয়ারী কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের পুরাতন ব্রীজঘাট ‘ফ্রেশ এন্ড সেইফ’ বেকারী হতে বের হয়ে নিখোঁজ হন মো: সোহেল (১৪)। তার বাড়ি কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড পাঠানপাড়া। তার পিতার নাম নুরুন্নবী যিনি বর্তমানে মৃত।
নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় গত ১৬ ফেব্রুয়ারী সোহেলের মা পাখিজা বেগম (৩৮) বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যার পিপিআর নং-২২২। যার তদন্ত অফিসার ছিলেন এসআই মো. রফিকুল ইসলাম। সে সময় সম্ভাব্য সকল স্থানে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে ও পার্শ্ববর্তী সকল থানায় ছবি ও খবর পাঠালেও সোহেলের কোন সে সময় হদিস পাওয়া যায়নি।
গতকাল ২৫শে এপ্রিল রাতে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ সোহেল বাড়ি ফিরে আসেন। পরিবারের মাঝে স্বস্তি¦ ফিরে আসলেও অধরা রয়ে যায় সে তিন মাস ১০ দিন কোথায় ছিলেন? কিভাবে বাড়ি ফিরে আসলেন! কেনই বা বেকারী মালিকের বিরুদ্ধে জিডি করা হলো! এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি।