জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এবং এই সংক্রান্ত সব কিছুই ভারতের কাছে কঠোর ভাবে অভ্যন্তরীণ বিষয়। ৫৭টি মুসলিম দেশের গোষ্ঠী ‘অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি)’- এর সম্মেলনে কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাশ হওয়ার পরই এই প্রতিক্রিয়া নয়াদিল্লির।
শুক্রবারই আবু ধাবিতে মুসলিম দেশগুলির পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের এই সম্মেলনে প্রথম বারের জন্য ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। তার এই সফর আক্ষরিক অর্থেই ছিল ঐতিহাসিক, কারণ পাকিস্তানের প্রবল আপত্তি সত্ত্বেও এই বৈঠকে ভারতকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ওআইসি।
ভারতের উপস্থিতি মানতে না পেরে এই সম্মেলনে না যাওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান। এতেই শেষ নয়, মুসলিম দেশগুলির মঞ্চে দাঁড়িয়ে সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার জন্য নাম না করে পাকিস্তানকে তুলোধনাও করেন সুষমা।
ভারতের এই কূটনৈতিক সাফল্যের পরই কলকাঠি নাড়তে শুরু করে ইসলামাবাদ। সুষমা স্বরাজ বক্তব্য রাখার ঠিক পরের দিনই একটি প্রস্তাব পাশ করা হয় ওআইসি পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের এই সম্মেলনের শেষ দিনে। প্রস্তাবটিতে কাশ্মীরে ভারতের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনাও করা হয়। নিরীহ কাশ্মীরিদের ওপর সেনার বলপ্রয়োগের নিন্দাও করেন মুসলিম দেশগুলির পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা।
সম্মেলনে না গেলেও এই প্রস্তাব পাশ হওয়ার পরখুশি চেপে রাখতে পারেনি পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়। টুইট করে সেই কথা ফলাও করে বলেও ফেলেছেন পাক পররাষ্ট্র মন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি।
এর পরই আসরে নামে নয়াদিল্লি। মুসলিম দেশগুলির এই প্রস্তাব পাশ হওয়ার পরই ভারতের তরফে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্র মুখপাত্র রাবিশ কুমার। তিনি জানিয়েছেন, ‘ওআইসি যে প্রস্তাব পাশ করেছে তার প্রেক্ষিতে এটাই বলার, জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে আমাদের অবস্থান বরাবরের মতোই স্পষ্ট। জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ এবং এটি কঠোর ভাবে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।’