১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

samakalnew24
samakalnew24
শিরোনাম:
খাবারের সন্ধানে সুন্দরবনের ২ হরিণ পাথরঘাটায় দুর্গাপুরে মুজিবনগর দিবস পালিত দুর্গাপুরে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ে ভ্রাম্যমান আদালত চাঁদপুরে ৫ কোটি টাকা নিয়ে নিখোঁজ পূবালী ব্যাংক শাখার... দুর্গাপুরে শেষ হলো দু‘দিন ব্যপি কৃষক মেলা

নেত্রকোণার দূর্গাপুরে অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চলছে রমরমা ব্যবসা

  সমকালনিউজ২৪

কামরুল হাসান,ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ

নেত্রকোণা জেলার দূর্গাপুর উপজেলায় প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোর মালিকগণ সরকারী অনুমোদন নেয়ার তোয়াক্কা না করেই সেবার নামে রাজস্ব ফাাঁকি দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে ব্যবসা কার্যক্রম। এতে সরকার যেমন হারাচ্ছে রাজস্ব তেমনি জনগণ পাচ্ছেনা মানসম্মত সেবা।

লাইসেন্স বিহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কারনে প্রকৃত লাইসেন্সধারী প্রতিষ্টানগুলো সঠিক সেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। অধিকাংশ প্রতিষ্টানের নেই কোন আধুনিক ভাল যন্ত্রপাতি। নিম্ন মানের যন্ত্রপাতি দিয়ে চালাচ্ছে তাদের সেবা কার্যক্রম।

অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলোতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসারগন নিয়মিত রোগী দেখেন। এসব প্রতিষ্ঠানে নেই কোন ভাল ল্যাব। নেই কোন দক্ষ টেকনেশিয়ান।

স্থানীয় জনগণের তথ্যসূত্রে জানা যায়, এলাকায় নেই কোন ভাল সেবা, নেই কোন ভাল প্রতিষ্ঠান।

এখানে ডাক্তার দেখাতে আসলে ভোগান্তিতে পড়তে হয়, পাওয়া যায় না সঠিক দিকনির্দেশনা, পাওয়া যায়না সঠিক সেবা।

নেত্রকোণা জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, দূর্গাপুরে উপজেলায় আবেদনকৃত ১৮টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে। তবে ৮ টি প্রতিষ্টানের কোন বৈধ কাগজ পত্র নেই।

এছাড়াও বিভিন্ন বাজার গুলোতে গড়ে উঠেছে অনেক অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে যাহা সিভিল সার্জন অফিস অবগত নয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার এ. এস. এম. তানজিরুল ইসলাম (রায়হান) বলেন, আমরা ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো পরিদর্শন শেষ করে রিপোর্ট পাঠিয়েছি। পরবর্তীতে জেলা সিভিল সার্জন অফিসের নির্দেশ অনুসারে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রতিদিনের খবর পড়ুন আপনার ইমেইল থেকে
ময়মনসিংহ বিভাগের সর্বশেষ
ময়মনসিংহ বিভাগের আলোচিত
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কটূক্তি করেছিলেন নওগাঁ জেলা হাসপাতালের ইনডোর মেডিকেল অফিসার ডা. মৌমিতা জলিল জুলি। এবার সেই জুলিকে শোকজ নোটিশ পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। সোমবার মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব শামীমা নাসরিন স্বাক্ষরিত শোকজ নোটিশে মাশরাফিকে নিয়ে তার ফেসবুক পোস্টের কথা তুলে ধরে বলা হয়, আপনার আচরণ একজন সরকারি কর্মকর্তার জন্য মানানসই নয় এবং অশোভনীয় আচরণ। এবং সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালার পরিপন্থী যা সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩ (খ) মোতাবেক ‘অসদাচরণ’ হিসেবে গণ্য। এতে আরও বলা হয়, ‘এক্ষণে, সেহেতু সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩ (খ) মোতাবেক অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত করে কেন উক্ত বিধিমালার অধীনে যথোপযুক্ত দণ্ড প্রদান করা হবে না তা এ নোটিশ প্রাপ্তির তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।’ উল্লেখ্য, সম্প্রতি নড়াইল সদর হাসপাতালে হঠাৎ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন সংসদ সদস্য মাশরাফি। সেখানে তিনি কর্তব্যরত ডাক্তারদের কর্মস্থলে অনুপস্থিত পেলে একজন ডাক্তারের সঙ্গে মোবাইল ফোনে অনুপস্থিতির কারণ জানতে চেয়ে কথা বলেন। কথোপকথনের সে দৃশ্য পরবর্তীতে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে অনেকে যেমন মাশরাফিকে বাহবা দেন ঠিক তেমনি কেউ কেউ বিশেষ করে ডাক্তার সমাজ মাশরাফির কথার ধরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তার সমালোচনা করেন। সেই সমালোচকদের একজন ডা. মৌমিতা জলিল। মাশরাফিকে নিয়ে অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে তিনিও ফেসবুকে পোস্ট দেন, যা পরবর্তীতে ভাইরাল হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়েরও নজরে আসে।
ওপরে