চাঁদপুরে পদ্মা-মেঘনা নদীর পানি এখনো বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শঙ্কামুক্ত হচ্ছে না শহর রক্ষা বাঁধ। মেঘনা তীরবর্তী ৪টি উপজেলার ১৮টি ইউনিয়নের মানুষ উজানের পানির ঢলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকারিভাবে শুকনো খাবার, নগদ অর্থ ও গো খাদ্যের জন্য সহযোগিতা করলেও তা পর্যাপ্ত নয়।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান ইনকিলাবকে জানান, দক্ষিণা বাতাস ও পূর্ণিমার প্রভাবে চাঁদপুরে নদী তীরবর্তী চারটি উপজেলার ইউনিয়নের মানুষ ক্ষ’তিগ্রস্ত হয়েছে। মৎস্য খামার, কৃষি ফসল ও অনেকের ঘরবাড়ি ক্ষ’তিগ্রস্ত হয়েছে।
সরকারিভাবে ত্রাণ সামগ্রী তথা শুকনো খাবার, ও গো খাদ্যের জন্য নগদ সহায়তা দেওয়া হয়েছে। আবাসস্থল ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে ত্রাণ মন্ত্রণালয় টিন চাওয়া হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আকতার জানান, চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের পুরান বাজার হরিসভা এলাকায় ভাঙ্গনস্থল মেরামত করা হয়েছে। সার্ভে রিপোর্ট ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। নির্দেশনা পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে মেঘনা নদীর পানি এখনো বিপদসীমার ২৭সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অমাবস্যার কারণে পানির প্রবাহ আরো বাড়তে পারে।