বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের আমড়াতলা গ্রামে মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা শ্লীলতাহানীর অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সুএে জানা যায় , ঐ এলাকার আমড়াতলা দারুল-উলুম দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো: জহির , মো: ফিরোজ এর সাথে দীর্ঘদিন যাবত একই মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো: ফারুক উল ইসলাম এর সাথে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছিল , সেই বিরোধের জের ধরে সুপার বিভিন্ন স্বরযন্ত্রে লিপ্ত হয় , অএ মাদ্রাসার এক ছাএীর নামে ফিরোজকে জড়িয়ে মিথ্যা শ্লীলতাহানীর অভিযোগ তোলে ।
বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ স্যোসাল মিডিয়ায় ও প্রকাশ পায়। মাদ্রাসায় ঐ ছাএীর কাছে জানা যায় , সে বামনা উপজেলার বামনা সদর ইউনিয়নের , রুহিতা গ্রামের জাকির হোসেন এর কন্যা। তিনি কাকচিড়া ইউনিয়নের বরইতলা গ্রামের , জাহিদুল ইসলাম মিজান এর স্ত্রী হিসেবে পরিচিত। সে শ্বশুর বাড়ীতে থেকে আমড়াতলা দাখিল মাদ্রাসায় ৮ম শ্রেনীতে লেখাপড়া করে , ফিরোজ স্যার কোন খারাপ কথা বলেনি , আমার অপ্রাপ্ত বয়সে বিবাহ হওয়া ঠিক হয়নি শিক্ষক হিসেবে এতটুকুই বলেছে, এর বেশি নয়। ছাএীর স্বামী জাহিদুল ইসলাম মিজান সাংবাদিকদের বলেন , মেয়েটি আমার স্ত্রী নয় , আমার বোন , যাহাতে কেউ মেয়েটিকে ডিষ্টাব না করে তাই আমি সমাজে ও মাদ্রাসায় আমার স্ত্রী ঘোষনা দিয়েছি।
এবিষয় মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ফিরোজ , জানান আমি ও আমার ভাই জহির আওয়ামীলীগ রাজনীতির সাথে জড়িত , আমার ভাই বর্তমান ইউপি সদস্য ও অএ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি , আমরা দুইভাই একই মাদ্রাসায় সহকারী শিক্ষক হিসেবে সুনামের সহিত কর্মরত আছি। আমরা রিতিমত ক্লাস করি। সরকারী বন্দ ছাড়া আমরা কখনো ক্লাস বন্দ দেইনি। সুপারের ভাইয়ের সাথে আমার ভাইর ইউনিয়ন নির্বাচনী প্রতিদন্ধীতায় জহির ইউপি সদস্য হয় ।
সুপারের সাথে আমাদের এই পারিবারিক বিরোধ থাকার কারনে কোন উপায় না পেয়ে , সমাজের কাছে আমাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য মাদ্রাসার এক ছাএীর নামে ও আমার বিরুদ্ধে গুজব ছড়িয়েছে। আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে এর সুষ্ঠ বিচার চাই। মাদ্রাসার সুপার ফারুক উল ইসলাম বলেন, ফিরোজ ও জহির খুব ভালো শিক্ষক , তাড়া যথা সময় ক্লাসে আসে তাড়া দুইভাই একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক , আমার সাথে তাদের কোন বিরোধ নাই। যে মেয়েটি নিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক নিয়ে কথা হয়েছে তা সত্য নয়। মেয়েটি শুনেছি বিবাহিতা সে মাদ্রাসায় ৮ম শ্রেনীতে পড়ে। তার ভর্তির কোন কাগজ পএ এখনো আমি পাইনি। তবে কাগজ পএ ছাড়া ভর্তি নেয়া আমার ভুল হয়েছে।
এব্যাপারে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন , এবিষয় আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি আসলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।