৫ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ ২০শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

samakalnew24
samakalnew24
শিরোনাম:
পাইকগাছায় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছে হেলথ্... উজিরপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ১০ দোকান ভস্মীভূত, অর্ধকোটি... পার্বতীপুর মধ্যপাড়া রেঞ্জ বন বিভাগের ১১০০ একর বনভূমি... খেয়ে না খেয়ে ঝুপড়ি ঘরে মৃত্যুর প্রহর গুনছেন তালতলীর... নোয়াখালীতে মানুষের ধারে ধারে ব্যারিস্টার পারভীন...

“প্রশ্নফাঁসের শর্তে ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক”

  সমকাল নিউজ ২৪

জ্যোতি বাছাড়(খুলনা): খুলনা মহানগরীর আযম খান সরকারি কমার্স কলেজে প্রশ্ন ফাঁসের শর্তে ছাত্রীদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে কম্পিউটার অপারেটর কাম অফিস সহকারী আবুল হাসানের বিরুদ্ধে। প্রায় ডজনখানেক ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক করেছেন তিনি। আপত্তিকর অবস্থার ছবি তুলে রেখে পরবর্তীতে ওই ছাত্রীদের ব্লাকমেইল করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ক্ষতিগ্রস্ত ও ভুক্তভোগীদের মাধ্যমে এ ধরনের কিছু আপত্তিকর ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, আযম খান সরকারি কমার্স কলেজের মার্কেটিং বিভাগের কম্পিউটার অপারেটর কাম অফিস সহকারী আবুল হাসান সুন্দরী ছাত্রীদের টার্গেট করে তাদের সঙ্গে রসালো আলাপ করে পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র দেবার প্রতিশ্রুতি দেন। বিনিময়ে অনৈতিক সম্পর্ক করতে শর্ত দেন। এভাবে গত কয়েক বছরে পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র ফাঁস করে ডজনখানেক ছাত্রীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন তিনি। কৌশলে বা ফুসলিয়ে আপত্তিকর ও ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখতো আবুল হাসান। পরে তার কথামত না চললে ওই ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেবার কথা বলে ব্লাকমেইল করতো। ক্ষতিগ্রস্তরা জানান, ক্লাস টেস্ট, অর্ধ-বার্ষিকী ও বার্ষিক পরীক্ষাসহ প্রায় সবধরনের প্রশ্নপত্রের ফটোকপি পরীক্ষার কয়েকদিন আগেই তার মাধ্যমে পৌঁছে যায় ঘনিষ্ঠদের কাছে। সেজন্য পরীক্ষার আগে-পরে বা ইচ্ছামতো সময়ে ওই ছাত্রীদের তার সঙ্গে মিলিত হতে হতো। কখনো নগরীর ভূতের আড্ডা, অন্য কোনো পার্কে; আবার কখনো অনুরূপ সুবিধা দেয়া কোনো ছাত্রের মেস বাসায় নিয়ে যেত ওই ছাত্রীদের। কৌশলে এসব মুহূর্তের ছবি তুলে রাখতো আবুল হাসান। তার বাড়ি বটিয়াঘাটার পুঁটিমারি এলাকায়। গত কয়েক বছরে অন্তত ডজনখানেক মেয়ের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

কলেজের একটি সূত্র জানিয়েছে, শুধু মার্কেটিং বিভাগের নয়; হিসাব বিজ্ঞান বিভাগেও তার পদচারণা ছিল। এ দুটি বিভাগের কয়েকজন শিক্ষক তাকে ই-মেইলেও গোপন প্রমাণাদি ও প্রশ্নপত্র পাঠাতেন; যা তার ওইসব ছাত্রীরা আগেই পেয়ে যেতো। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মার্কেটিং বিভাগের কম্পিউটার অপারেটর কাম অফিস সহকারী আবুল হাসান বলেন, ‘আমি ভুল করেছি; আমাকে মাফ করে দেন।

প্রতিদিনের খবর পড়ুন আপনার ইমেইল থেকে
Uncategorized বিভাগের সর্বশেষ
ওপরে