চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে অবস্থিত কাঁশারা ছিদ্দিকিয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান বেড়ে গেলেও প্রয়োজনীয় ভবন না থাকায় শিক্ষাথীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ওই এলাকার শিক্ষার্থীদের সু-ব্যবস্থা দানে বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ইসলামী চিন্তাবিদ আলহাজ্ব মওলানা মরহুম আবুল খায়ের মুহাম্মদ রুহুল আমিন (রহঃ) ১৯৬৫ সালে এ মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। মাদরাসার বর্তমান সভাপতি বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজ সেবক মোঃ শহিদুল ইসলাম পাটওয়ারী সহ ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দের তদারকির ফলে শিক্ষা ব্যবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও ভবনের অভাবে শিক্ষার্থীদের দূর্ভোগ লেগেই আছে।
জানা যায়, মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত নতুন করে কোন ভবন বর্তমান সরকারের আমলে এমপিওভুন্ত হওয়ার মাদ্রসাটি (কোড নং-১৮৫১৭) দীর্ঘ দিনের দুচালা টিনের ঘরে শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে ক্লাস করতে হচ্ছে। এ উপজেলায় শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফলে ঐতিহ্যবাহী কাঁশারা ছিদ্দিকিয়া দাখিল মাদরাসাটি শিক্ষা ক্ষেত্রে বেশ সুনাম অর্জন করেছে। বর্তমান মাদরাসার সুপার মোঃ লতিফ মিয়া এই মাদরাসায় যোগদানের পর পর শিক্ষার্থীদের যুগোপযোগী শিক্ষার উন্নয়নে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি অন্যান্য সহকারী শিক্ষকদের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় ব্যাপক উন্নতি সাধিত হয়েছে। এই প্রাচীণতম দাখিল মাদরাসাটিতে আগের চেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা দ্বিগুন বৃদ্ধি পেয়েছে। শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে ৩৪৬ জন ও শিক্ষক ১১ জন। সরেজমিনে দেখা যায়, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শিক্ষার প্রসারে সুনাম অর্জনকারী ওই মাদরাসাটির ভবন সংকটে একই রুমে পাশাপাশি দু’শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ক্লাস নেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া দীর্ঘ দিনের পুরানো শিক্ষক মিলনায়তনটিও জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষক জানান, আমাদের নিজস্ব অর্থায়নে মাদরাসাটির জরাজীর্ণ শিক্ষক মিলনায়তনটি আংশিক সংস্কারসহ শিক্ষার্থীদের জায়গা সংকুলনে ছোট একটি টিনশেড বিল্ডিং করার পরও শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
এলাকার অভিভাবক মোঃ শফিক পাটওয়ারী জানান, মাদরাসাটির শিক্ষা ব্যবস্থা ও ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা আগের চেয়ে অনেক বেড়ে চলেছে। এই মাদরাসাটিতে দীর্ঘ দিনের পুরানো দোচালা টিনের লম্বা ঘরে শিক্ষার্থীরা কষ্ট স্বীকার করে ক্লাস করতে হচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস করানোর প্রয়োজনীয় ভবন না থাকায় অনেক নতুন শিক্ষার্থীরাই এ মাদরাসায় ভর্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে এই দাখিল মাদরাসার সুপার মোঃ লতিফ মিয়া বলেন, মাদরাসাটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা আগের চেয়ে অনেকটা বেড়েছে। এই মাদরাসাটিতে শিক্ষার্থীদের দূর্ভোগ লাঘবে সরকারিভাবে প্রয়োজনীয় ভবনের বরাদ্দ একান্ত প্রয়োজন।