চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা সামছুলিয়া অদুদিয়া দাখিল মাদ্রাসাটির শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি হলেও প্রয়োজনীয় ভবন না থাকায় শিক্ষার্থীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ১৯৯৪ সালে এলাকার বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী মরহুম আলহাজ্ব আবদুল অদুদ কোম্পানী মিয়া এই মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। এই মাদ্রাসাটির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই প্রতিষ্ঠাতার নিজস্ব আর্থিক সহায়তায় করা ভবনটি বর্তমানে জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
জানা যায়, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে জরাজীর্ণ এবতেদিয়া দ্বিতল ভবনটিতে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে ক্লাস করতে হচ্ছে। মাদ্রাসাটির বর্তমান সুপার মোঃ মাহবুবুর রহমান যোগদান করার পর থেকে শিক্ষা কার্যক্রমের উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেড়ে যায়। এই মাদ্রাসাটিতে আগের চেয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুন হয়েছে।
বর্তমানে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৪৮৪ জন এবং ১৪ জন শিক্ষকের মধ্যে রয়েছে ১২ জন। শিক্ষকদের নিরলস প্রচেষ্টা ও শ্রেণীকক্ষে নিয়মিত পাঠদানে ওই মাদ্রাসার জেডিসি ও দাখিল পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রতি বছরই সন্তোষজনক।
এছাড়া ২০১৮ সালে উপজেলার এই মাদ্রাসাটিতে জেডিসিতে ৩ জন শিক্ষার্থী ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। শিক্ষক ঘাটতি ও দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসাটির অবকাঠামোর উন্নয়ন না হওয়ায় শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যহত হওয়ায় আশংঙ্কা রয়েছে। মাদ্রাসার বর্তমান সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ব্যবসায়ী মোঃ আব্দুল আজিজ সহ কমিটির অন্যান্য সদস্যদের আর্থিক সহায়তায় জরাজীর্ণ পুরাতন ভবনটি আংশিক সংস্কার করে মাদ্রাসাটির শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
মাদ্রাসায় পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রীদের একাধিক অভিভাবকরা জানান, এই মাদ্রাসাটির পর্যাপ্ত পরিমাণ জায়গা থাকার পরও ভবনের অভাবে অনেক শিক্ষার্থীরাই নতুন করে ভর্তি হতে পারছে না। শিক্ষাক্ষেত্রে সফলতাকামী উপজেলার এই মাদ্রাসাটিতে সরকারি অনুদানে ভবন নির্মাণ খুবই জরুরী হয়ে পড়েছে।
এই মাদ্রাসারই শিক্ষক মোঃ হজরত আলী ও মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, মাদ্রাসার দীর্ঘ দিনের নির্মিত জরাজীর্ণ দ্বিতল ভবনটি খুবই ঝুকিপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে সব সময়ই আতঙ্কে থাকতে হয়।