চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৬নং গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের খাজুরিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে গেইটের বাম পাশের লীজকৃত সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী আলী হোসেন বলেন, এই সম্পত্তি আমার বাবার নামে ১৫ শতাংশ লীজকৃত এবং পাশে আমি ৪ শতাংশ জমি কিনেছি। জমিটিতে বিভিন্ন জাতের গাছের চারা ও ফলের গাছ রোপন করে রেখেছি। বিদ্যালয়ের সম্পত্তি হলে তা লীজ হলো কিভাবে। আমি বলেছি আপনারা বিদ্যালয়ের সম্পত্তি আমীন দিয়ে মাপঝোপ করে দেখেন।
যদি বিদ্যালয়ের সম্পত্তি কম হয় কিংবা এই সম্পত্তি বিদ্যালয়ে হয় আমি ছেড়ে দিবো। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, মৃত আব্দুল মান্নানের বাড়ীর সন্নিকটে থাকা ৪ শতাংশ নাল ভূমি সরকারের ১/১ খতিয়ানে খাজুরিয়া মৌজার ৪৪ শতাংশ জমির মধ্যে ৪ শতাংশ জমি সরকারের আইন মোতাবেক লীজ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছেন মৃত আব্দুল মান্নানের পুত্র মোঃ আলী হোসেন। লীজকৃত ডিসিআর নং- ১০৬১২৮. ভিপি লীজ মামলা নং ১৫৭/৬৮-৬৯ পাকিস্তান সরকারের আমল থেকে আলী হোসেনের পিতা মৃত আঃ মান্নান লীজকৃত জমি দখলভোগ করে আসছেন।
তার মৃত্যুর পর ছেলে আলী হোসেন সরকারের নিয়ম অনুযায়ী খাজনাপত্রাদির মাধ্যমে লীজকৃত জমি ভোগ দখল করে আসছেন।বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি বটে। তিনি পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান। এছাড়া ঐ বিদ্যালয়েরই সহকারী শিক্ষক মজিবুর রহমান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী হওয়ায় এলাকার কতিপয় ভূমিদস্যুদের সঙ্গপানে জোর পূর্বক লীজকৃত সম্পত্তি বিদ্যালয়ের নাম করে দখলের অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
এই ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শওকত হোসেন বলেন, বিদ্যালয়ের গেইটের উত্তর দক্ষিণ পাশে সম্পত্তি আমাদের। বিদ্যালয়ের দলিলকৃত মোট জমির পরিমান জানতে চাইলে তিনি কোন রকম সদুত্তোর না দিয়ে ভুক্তভোগীর সম্পত্তিটিও প্রতিষ্ঠানের নামে বলে চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ডাঃ আঃ রাজ্জাক বলেন, আমরা বিদ্যালয়ের সম্পত্তি পরিমানের বাইরে যাবোনা। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জানান, এই বিষয়ে আমার জানা নেই।
স্থানীয় ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের মোট সম্পত্তি১ একর ৭৮ শতাংশ দলিলীয় ও রেকর্ডকৃত ভূমি যাহা খাজুরিয়া মৌজা সিএস ৪৪৬, বিএস ৩৭১ দাগে খাজুরিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে । তার বাহিরে তাদের কোন সম্পত্তি নেই। ভুক্তভোগী আলী হোসেনের পৈত্রিক আমল থেকেই তার লীজকৃত সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছে। বিদ্যালয়ের দলিল ও রেকর্ডকৃত ভূমি বিদ্যালয়ের দখলে রয়েছে।