১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

samakalnew24
samakalnew24
শিরোনাম:
ফরিদগঞ্জের প্রখ্যাত হোমিও ডাক্তার নারায়ণ চক্রবর্তীর... তাহেরপুরের তিনশত বছরের বৃক্ষের নাম আজো অজানা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রাণিসম্পদের বিকল্প নেই : ইউএনও... প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী সড়ক দুর্ঘটনায় সংগীতশিল্পী পাগল হাসান সহ নিহিত-২ আহত-৩

ফুলবাড়ীতে আবারো চামড়ার বাজারে ধ্বস বিপাকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা

 মেহেদী হাসান,ফুলবাড়ী প্রতিনিধিঃ সমকালনিউজ২৪

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে করবানীর চামড়ার বাজারে আবোরো ধ্বস নেমেছে,সরকার প্রতি বর্গফুট চামড়ার দাম ৪৭টাকা নিদ্ধারণ করলেও,সেই দাম পায়নি চামড়া বিক্রেতারা, গ্রামে চামড়া কিনে বিপাক পড়েছেন চামড়ার মৌসুমী ব্যবসায়ীরাও।

চামড়ার মহাজনেরা বলছেন প্রক্রিয়াজাত চামড়ার মূল্য ৪৭টাকা নিদ্ধারণ করা হলেও, বাজারে লবনের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় চামড়া প্রক্রিয়াজাত ও ট্যানারী মালিকদের নিকট নিয়ে যেতে প্রতিটি চামড়ায় খরছ হয় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, আবার বছরের পর বছর ট্যানারী মালিকদের নিকট টাকা পড়ে থাকে এই কারনে তারা সরকারের নির্ধারিত মূল্যে চামড়া কিনতে পারছেনা।

এদিকে দেশিও বাজারে চামড়া মূল্য কমে যাওয়ায়, সেই চামড়া চোরা পথে পার্শবর্তি রাষ্ট্র ভারতে পাচার হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। সচেতন মহল বলছেন দেশিও বাজারে চামড়ার মূল্য কমে যাওয়ায়,অধিক মুনাফার আশায় চোরা কারবারীরা চোরা পথে পার্শবর্তি রাষ্ট্র ভারতে চামড়া পাচার করতে পারে। তবে সেই আশঙ্কা নাকচ করে দিয়েছেন ফুলবাড়ী ২৯ বডার গার্ড ব্যটলিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল আলমগীর কবির।

তিনি জানান, চামড়া পাচারসহ চোরাকাবারী রোধে সীমান্ত এলাকায় কড়া নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেই সাথে সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করা হয়েছে।

কুরবানীর চামড়ার বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতিটি গরুর চামড়া আকার ভেদে ২৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে,এছাড়া ছাগলের চামড়া বিক্রি হয়েছে ১০টাকা থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত। আবার অনেকে ছাগলের চামড়া বিক্রি করতে না পেরে, সেই চামড়া মাটিতে পুঁতে রেখেছেন,কেউ আবার নদীতে ফেলেছেন।

চামড়া ব্যবসায়ী শাহনেওয়াজ হাশমি বলেন, গ্রাম থেকে চামড়া কিনে এনে মহাজনেরা চামড়ার কিনা দামও বলছেনা,এতে তিনি বড় রকমের লোকশানের মুখে পড়েছেন। চামড়া ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন একটি ১৫ ফিটের গরুর চামড়া প্রক্রিয়া জাত করলে ১৩ফিট হয়ে যায়, বাজারে লবনের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায়, চামড়া প্রক্রিয়ার খরছও বৃদ্ধি পেয়েছে। একই কথা বলেন চামড়া ব্যবসায়ী কাবির হোসেন ও সুধির চন্দ্র। চামড়া ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন একটি চামড়া প্রক্রিয়া জাত করে মোকামে নিয়ে যেতে খরছ হয় ২০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা, এরপর বছরের পর বছর ট্যনারী মালিকরা চামড়ার দাম বাঁকি রাখে,তাই সরকারের নির্ধারিত মূল্যে তারা চামড়া কিনতে পারছেননা।

চামড়া বিক্রি করতে আসা বারকোনা গ্রামের আব্দুল আলিম বলেন এঁেড় গরুর চামড়া ৪০০ টাকা দামে বিক্রি করেছেন, কয়েকজন কওমী মাদরাসার শিক্ষক বলেন, করবানীর পশুর চামড়ার টাকা দিয়ে কওমী মাদরাসা গুলো বছরের বেশি সময় খরচ যোগায়, কয়েক বছর থেকে চামড়ার দাম কমে যাওয়ায় মাদরাসা গুলোকে বিকল্প পথে আয় করতে হচ্ছে।

তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির ফুলবাড়ী শাখার আহবায়ক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম জুয়েল বলেন, চামড়া আমাদের জাতীয় সম্পদ, তিনি বলেন বর্তমানে দেশিও বাজারে চামড়া জাত পন্যের দাম দিন দিন বৃদ্ধি পেলেও, চামড়ার বাজারে ধ্বস নামছে, এতে করে এ জাতীয় সম্পদ চোরা পথে বিদেশে পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, তিনি এই জাতীয় সম্পদকে রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহব্বান জানান।

প্রতিদিনের খবর পড়ুন আপনার ইমেইল থেকে
দিনাজপুর বিভাগের সর্বশেষ
দিনাজপুর বিভাগের আলোচিত
ওপরে