দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে, বিনা ইজারায় যত্রতত্র কুরবানীর পশুর হাট বসায়, লাখ লাখ টাকা রাজস্ব্য হারাচ্ছে সরকার।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে, গত এক সপ্তাহ থেকে ফুলবাড়ী পৌরসভাসহ উপজেলার আমগুঙ্গির, বারাই, আট পুকুর, পুখুরী, মাদিলা ও মেলাবাড়ীর হাটে সপ্তাহে দু’দিন করে বসছে কুরবানীর পশুর হাট।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্য্যলয় সুত্রে জানা গেছে কেবল মাত্র আমডুঙ্গির হাট ও মাদিলা হাট পশুর হাট হিসেবে ইজারা দেয়া থাকলেও, বারাই হাট, আটপুকুর হাট, পুখুরী হাট ও মেলাবাড়ী হাট সাধারন হাট বাজার হিসেবে ইজারা দেয়া হলেও, পশুর হাট হিসেবে কোন ইজারা দেয়া হয়নি। আসন্ন ঈদুল ইযহাকে সামনে রেখে অস্থায়ী ভাবে এই হাট গুলোতে অস্থায়ী ভাবে পশুর হাট বসছে।
এদিকে ফুলবাড়ী পৌরসভা সুত্রে জানা গেছে পৌর হাট-বাজার, সাধারণ হাট-বাজার হিসেবে ইজারা দেয়া হলেও পৌর পশুর হাটের কোন ইজারা দেয়া হয়নি। আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে পৌর শহরের উপশহর মাঠে বসছে কুরবানীর পশুর হাট।
জানা গেছে উপজেলার, বারাই হাট, আটপুকুর হাট, পুখুরী হাট ও মেলাবাড়ী হাট গুলোতে পশুর হাট বসিয়েছে, সেই হাটের সাধারণ ইজারাদারেরা, পশুর হাটের রাজস্ব্যর টাকা চলে যাচ্ছে সেই ইজারাদারের পকেটে। এছাড়া পৌরসভার পশুর হাটের কোন ইজারাদার না থাকায়, সেই পশুর হাটটি নিয়ন্ত্রন করছে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পশুর হাটটি নিয়ন্ত্রন করলেও, সরকারী রাজস্ব্য ভ্যাট ও আয়করে টাকা কিভাবে পরিশোধ করা হবে, এই প্রশ্নে উত্তন দিতে পারেনি কেউ।
পৌরসভা পরিচালিত পশুর হাটের সরকারী ভ্যাট ও আয়কর কিভাবে পরিশোধ করা হয়, জানতে চাইলে পৌরসভার সচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, পশুর হাটের বিষয়টি তার জানা নেই। একই কথা বলেন পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী লুৎফুল হুদা চৌধুরী। পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী লুৎফুল হুদা চৌধুরী আরো বলেন পশুর হাটটি নিয়ন্ত্রন করছেন মেয়র ও পৌর পরিষদ, সেখানে তার কোন দায়িত্ব নাই। এই বিষয়ে কথা বলার জন্য বারবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি পৌর মেয়র মুরতুজা সরকার মানিককে। এই বিষয়ে পৌরসভার প্যানেল মেয়র মামুনুর রশিদ চৌধুরীর নিকট জানতে চাইলে, তিনি বলেন পশুর হাটটির কোন ইজারাদার না থাকায়, পৌরসভা খাশ আদায় করছেন, কিন্তু সরকারের ভ্যাট ও আয়কর কিভাবে পরিশোধ করা হয় জানতে চাইলে তিনি আর কোন উত্তর না দিয়ে বলেন বিষয়টি মেয়র জানে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলাম বলেন, ইজারা ছাড়া পশুর হাট বসানো অবৈধ্য, তিনি তদন্ত করে সরকারের সরকারের রাজস্ব্যসহ ভ্যাট ও আয়করের টাকা আদায়ের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানান।