জিএম মিজান,বগুড়া ::
বগুড়ায় সদর উপজেলায় সিএনজি চালক আজগর আলী পিয়াল (২৮) হ’ত্যা মা’মলার রহস্য উদঘাটন করেছে সদর থানা পুলিশ। মা’দক সেবনের কথা বলে তাকে কবরস্থানে ডেকে নিয়ে যায় তার কাছের দুই বন্ধু। পরে তাকে ঐ কবরস্থানেই মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে হ’ত্যা করে অটো রিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যায় হ’ত্যাকারীরা।
পিয়াল হ’ত্যার সাথে জড়িত তার দুই বন্ধু সহ তিনজনকে গ্রে’ফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া সদর থানার সুত্রে জানা যায় গ্রে’ফতারকৃতরা হলেন বগুড়া সদরের ছোট কুমিড়া গ্রামের মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে হান্নান (৩২), একই গ্রামের দুলু খানের ছেলে রাশেদ (৪০) ও দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট থানার নয়াপাড়া গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে নুরুন্নবী ওরফে মুন্না (২৫)।
গ্রে’ফতারকৃতদের মধ্যে রাশেদ ও হান্নান জিঙ্গাসাবাদে জানায়, গত ২১ মার্চ সন্ধ্যার পর মা’দক সেবনের কথা বলে তারা আজগর আলী পিয়ালকে অটোরিকশাসহ ছোট কুমিড়া গ্রামের পিছনে কবরস্থানে ডেকে নেয়। সেখানে ৩ জন এক সাথে মা’দক সেবন করার সময় পিয়ালের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে তাকে হ’ত্যা করা হয়। এরপর তার অটোরিকশা নিয়ে দুইজন পালিয়ে যায়। ঐ রাতেই অটোরিকশাটি দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাটে নিয়ে গিয়ে মুন্নার কাছে রাখে বিক্রি করার জন্য।
উলেখ্য,গত ২১ মার্চ সিএনজি চালক আজগর আলী পিয়াল নিখোঁজ হওয়ার পর ২৮ মার্চ শনিবার সন্ধ্যায় পুলিশ ছোট কুমিড়া গ্রামের কবরস্থানে একটি পুরাতন কবর থেকে তার লা’শ উ’দ্ধার করে।
এ ঘটনায় নি’হতের বাবা মহিদুল ইসলাম ২৮ মার্চ রাতে সদর থানায় মা’মলা করেন।
বগুড়া সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম বদিউজ্জামান এ প্রতিবেদক-কে বলেন, রাশেদ ও হান্নানের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঘোড়াঘাট থেকে মুন্নাকেও গ্রে’ফতার করা হয়েছে। তবে অটোরিকশাটি এখনও উ’দ্ধার করা যায়নি।