জিএম মিজান,বগুড়া ::
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলায় ফসলের মাঠ থেকে উ’দ্ধার আগুনে পোড়ানো লা’শের পরিচয় নিশ্চিত ও হ’ত্যা রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
হ’ত্যাকাণ্ডে নি’হত সেলিম প্রামানিক (৩২) দুপচাঁচিয়া উপজেলার খিদির পাড়া গ্রামের কফিল উদ্দিনের ছেলে। সেলিম রং মিস্ত্রির কাজ করতো। এই হ’ত্যাকান্ডে নি’হত সেলিমের পরকীয়া প্রেমিকা রূপালী (২৫) ও তার বাবা আবদুর রহমানকে (৫০) গ্রে’ফতারও করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
স্বামীর কাছে নিজেদের অন্তরঙ্গ ভিডিও পাঠিয়ে দেয়ায় প্রেমিক সেলিমকে হ’ত্যার পরিকল্পনা করে রূপালী। গত বুধবার দুপচাঁচিয়া উপজেলার কোল গ্রাম এলাকায় আগুনে পোড়ানো গলাকাটা একটি লা’শ উ’দ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে লা’শের পরিচয় জানা না গেলেও পরদিন নি’হতের বাবা কফির উদ্দিন লা’শটি তার ছেলে সেলিমের বলে সনাক্ত করেন।
শনিবার দুপুর ২টায় পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা (বিপিএম বার) সংবাদ সন্মেলনে এই নৃশংস হ’ত্যাকাণ্ডের নেপথ্য ঘটনার বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, একই গ্রামের বাসিন্দা প্রবাসীর স্ত্রী রূপালী ও সেলিম দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেমে যুক্ত। সেলিম তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে বেশ কিছুদিন ধরে বিয়ের জন্য রূপালীকে চাপ দিতে থাকে। রূপালী এতে রাজি না হওয়ায় সেলিম তার মোবাইলে থাকা ভিডিও রূপালীর সৌদিআরব প্রবাসী স্বামীর কাছে পাঠিয়ে দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রেমিক সেলিমকে খু’ন করার সিদ্ধান্ত নেয় রুপালী।
ঘটনার পর গ্রে’ফতার হওয়া রূপালী ও তার বাবার স্বীকারোক্তির বরাতে পুলিশ সুপার আরও জানান, সেলিমকে খু’ন করতে রূপালী বিয়ের কথা বলে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে কোল গ্রাম এলাকায় ডেকে নেয়। আগে থেকেই সেখানে রূপালীর বাবা আববদুর রহমান ও ৩/৪ জন অবস্থান করছিলো। রূপালী তাদের হাতে সেলিমকে তুলে দিলে তারা গলাকেটে হ’ত্যা করে তাকে। পরিচয় লুকাতে মোবাইলফোনসহ সেলিমের ম’রদেহ আগুনে পুড়িয়ে দেয় তারা। হ’ত্যার পর ঘটনা অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য তারা লা’শের পাশে ৬টি কনডমও রেখে যায়। পরে ৫ তারিখ সন্ধ্যায় দাত এবং আংশিক পাঞ্জাবির অংশ দেখে পরিচয় নিশ্চিত করেন সেলিমের বাবা। গ্রে’ফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হবে। এবং বাকি আসামিদের গ্রে’ফতার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
উক্ত সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সনাতন চক্রবর্তী ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আছলাম আলী (পিপিএম)।