২৮শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৪ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

samakalnew24
samakalnew24
শিরোনাম:
ফেইসবুকের প্রেমের টানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবক... কালাইয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত বরগুনায় ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত র‌্যাবের অভিযানে ট্যাপেন্টাডলসহ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে প্রবাসীদের এগিয়ে আসার...

বরগুনার মাছ বাজার সংলগ্ন ব্রীজের দক্ষিণ পাড় মরন ফাঁদ! ব্রীজের উপর ভাসমান বাজার, জন দূর্ভোগ চরমে

  সমকালনিউজ২৪

ইফতেখার শাহীন,বরগুনাঃ

বরগুনার মাছ বাজার সংলগ্ন খাকদোন নদীর উপর লাকুরতলা ব্রীজের দক্ষিণ পাড়ের সংযোগস্থল যেনো মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। এলজিইডির তত্বাবধানে প্রায় চার বছরেও এ ব্রীজের কাজ সমাপ্ত করতে পারেনি। এর ফলে জন দূর্ভোগ চরমে উঠেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।

এ ব্রীজটি উত্তর পাড়ের লাখ লাখ মানুষের বহু দিনের লালিত স্বপ্ন। পূর্বের আয়রন ব্রীজের কাঠামো পরিবর্তন করে পরবর্তীতে এটি গার্ডার ব্রীজে নির্মিত হয়।

স্থানীয়রা বলেন, উত্তর দক্ষিণ পাড়ের সাথে জনযোগাযোগ তৈরী করলেও দীর্ঘদিন থেকে অসমাপ্ত রয়েছে ব্রীজের দু’পাড়ের এ্যাপরোচের কাজ। ব্রীজের দক্ষিণ পাড়ের সংযোগস্থল দীর্ঘদিন থেকে রয়েছে খানাখন্দে পরিপূর্ণ। বর্ষা মৌসূমে এই খানাখন্দ থাকে পানি ভর্তি কর্দমাক্ত। প্রতিদিন এখান থেকে যাতায়াত করছে স্কুলগামি শিশুসহ হাজার হাজার মানুষ। ফলে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণীর পথচারীরা। ব্রীজের নির্মান কাজ প্রায় চার বছর পূর্বে শুরু হয়। কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সাধারণ মানুষকে ভোগান্তি দিয়ে মন্থর গতিতে বছরের পর বছর ধরে এ ব্রীজের কাজ শেষ করেন। কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায়, এখনও শেষ হয়নি ব্রীজের দু’পাড়ের এ্যাপরোচের কাজ।

একাধীক পথচারীরা বলেন, ব্রীজের দক্ষিণ পাড়ের সংযোগস্থল মূল ব্রীজ থেকে এ্যাপরোচ রয়েছে প্রায় ৩-৪ ফিট নীচে, যার ফলে প্রতিদিন অহরহ দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে পথচারীরা। এছাড়া দক্ষিণ পাড়ে মাছ ভর্তি ট্রাক প্রতিদিন রাতে ব্রীজের উপর মাছ খালাস করে। এর ফলে মাছের পঁচা পানি রোদে শুকিয়ে যে দূর্গন্ধের সৃষ্টি হয় তাতে জনজীবন অতিষ্ঠ এবং অনেক রোগ সৃস্টির করনও বটে। তারা আরও বলেন, এ ব্রীজটি বর্তমানে একটি ভাসমান বাজারে পরিনত হয়েছে। প্রতিদিন ব্রীজের উপর হরেক রকমের দোকানীরা দোকানপাট খুলে দেদারছে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। দেখার কেউ নেই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এলজিইডি উপজেলা প্রকৌশলী জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ব্রীজের কাজ শেষ, এ্যাপরোচের জন্য ভিন্ন টেন্ডার হবে। বর্তমানে ফান্ড নেই, ফান্ড হলেই দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রতিদিনের খবর পড়ুন আপনার ইমেইল থেকে
বরগুনা বিভাগের আলোচিত
ওপরে