ইফতেখার শাহীন,বরগুনাঃ
বরগুনা সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসের হিসাব সহকারী মোস্তাফিজার বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য ও শিক্ষক হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৩ তম গ্রেডের বকেয়া বিল করনে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের কাছ থেকে জন প্রতি ১ হাজার, চাকুরী স্থায়ী করনে ১৫’শ ও গত অর্থ বছরে ক্ষুদ্র মেরামতের বিল করনে তিনি ৩-৫ হাজার টাকা উৎকোচ গ্রহন করেছেন। কোন শিক্ষক এই টাকা দিতে অপারগ হলে অথবা তার ধার্যকৃত টাকার অঙ্ক কম হলে সেই শিক্ষকের বিল আর হয়না, তাকে হতে হয় হয়রানির শিকার।
২০২১-২২ অর্থ বছরে সদরের বালিয়াতলী সিটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২ লাখ টাকা ক্ষুদ্র মেরামতের বরাদ্দ পায়। প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন, মোস্তাফিজাকে ৫ হাজার টাকা উৎকোচ দিয়ে ওই বিল করিয়েছেন বলে ইসমাইল হোসেন স্বীকার করেন। এ ছাড়াও নলী মনসাতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক অভিযোগ করে বলেন, গত অর্থ বছরে বিদ্যালয়ে ইমার্জেন্সী ইন এডুকেশন খাতে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাই। ওই বিল করতে এজির কথা বলে মোস্তাফিজা আমার কাছ থেকে ২ হাজার টাকা নেয়। এই টাকায় বিল হবেনা বললে পরবর্তীতে আরও ১ হাজার টাকা তাকে দেই।
সদরের নলী মনসাতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শারমিন আকতার, দঃ খাজুরতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিলা ও রিপন, লাকুরতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নমিতা রানী ও সালমা পারভিন, উত্তর শিংড়াবুনিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফিরোজা আকতার, দঃ লাকুরতরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রেহানা বেগম, শায়লা জাহান, তন্বী, মরিয়ম, ফারজানা ও হৈমন্তী, মোস্তাফিজাকে জন প্রতি ১ হাজার ও ১৫’শ টাকা দিয়ে চাকুরী স্থায়ী করন এবং ১৩ তম গ্রেডের বকেয়া বিল করিয়েছেন বলে স্বীকার করেন। এ বিষয়ে মোস্তাফিজার কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে মুঠো ফোনের সংযোগ কেটে দেন।
তদন্ত সহকারে বিষয়টির সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে, এমনটি জানালেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ।