বিশ্বকাপের ঠিক আগে যা-তা অবস্থা পাকিস্তানের। হেরেই চলছে দলটি। ইংল্যান্ডের মাঠে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে হার। এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অস্ট্রেলিয়ার কাছেও পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশড! এমন অবস্থান বিশ্বকাপের ঠিক আগে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে তারা।
৩০ মে দক্ষিণ আফ্রিকা ও স্বাগতিক ইংল্যান্ড মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠতে যাচ্ছে আইসিসি দ্বাদশ বিশ্বকাপের আসর। পরের দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে পাকিস্তানের বিশ্বকাপ মিশন। এর আগে ২৪ মে আফগানিস্তান ও ২৬ মে বাংলাদেশের বিপক্ষে দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে তারা।
বিশ্বকাপের আগে জয়ের ধারা খুঁজে পেতে এই দুটি ম্যাচে চোখ রাখছেন পাকিস্তানের কোচ মিকি আর্থা, “নিজেদেরকে পুনরায় সুগঠিত করার জন্য আমরা সামনে আর দুইটি দিন পাচ্ছি। দুইটি প্রস্তুতি ম্যাচ আছে, তারপরে আমরা মূল আসরে যাব। আমি ছেলেদের নিয়ে খুবই আশাবাদী। আমাদের কিছু কিছু জায়গায় বেশ উন্নতির দরকার। আশা করি, সময়মতো সব অনুকূলে চলে আসবে।”
ইংল্যান্ডের কাছে হারলেও পাকিস্তানের পারফরম্যান্স যে খুব বাজে ছিল তা নয়। চারটিতে ম্যাচে পাকিস্তান যথাক্রমে ৩৬১, ৩৫৮, ৩৪০ ও ২৯৭ রান সংগ্রহ করে তারা। এরপরেও হার!
দলের হারের জন্য বাজে ফিল্ডিংকে দায়ী করছেন আর্থার, “আমাদের ফিল্ডিং খুব হতাশাজনক ছিল। মূলত এটাই দুই দলের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। আপনি যদি সাউথ্যাম্পটন ও নটিংহ্যামে ম্যাচ দুইটি লক্ষ্য করেন তো দেখবেন, শেষ ওভারে ম্যাচ দুইটি যেকোনো দলের পক্ষে যেতে পারতো। এখানেও ফিল্ডিংই আমাদের পিছিয়ে দিয়েছিল। এটাই (বাজে ফিল্ডিং) আমার চিন্তার মূল কারণ।”