নাজিম হাসান, রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় বিভিন্ন ইট ভাটাঁয় সরকারী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে দিনরাত কয়লার পরিবর্তে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। ইটভাটা মালিকরা বলছেন, বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানে চাঁদাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেই তারা এসব ভাটা চালাচ্ছেন।এছাড়াও কৃষি জমিতে গড়ে ওঠা ভাটা মালিকরা প্রশাসন কে ম্যানেজ করে নির্বিঘেœ চালিয়ে যাচ্ছে তাদের এই ব্যবসা।স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি সরকারি অনুমোদন ছাড়াই লোকালয় ও আবাদি জমির পাশে ইটভাটা স্থাপন করে ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। ভাটার শত শত বালু, মাটি ও ইট বহনকারী গাড়ি চলাচলে নষ্ট হচ্ছে গ্রামের রাস্তা-ঘাট।
খোজ নিয়ে জানা গেছে লোক দেখাতে ভাটায় কয়লার স্তূপ সামনে রেখে পেছন থেকে পোড়ানো হয় কাঠ। ইট ভাটায় ইট পোড়ানোর জন্য লাইন্সে লাগে ও ১২০ফুট কংক্রিটের স্থায়ী চিমনি স্থাপন, পরিবেশ ুুঅধিদপ্তরের ছাড়পত্র এবং বি.এস.টি আই এর লাইসেন্স সংগ্রহের সংবিধান থাকলেও রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার শতাধিক ইট ভাটার মালিকরা এসবের কিছুই তোয়াক্কা না করে কৃষি জমি মালিকদের টাকা দিয়ে জিম্মি করে কৃষি জমিতে অবৈধভাবে গড়ে তুলেছে ইট শতাধিক ভাটা এবং পাশাপাশি ফসলী জমির মাটির উর্বরতা শক্তি একবারে নষ্ট করে দিচ্ছে।
এসব ইট ভাটায় ইট পোড়ানো (নিয়ন্ত্রন) আইন অনুযায়ী সংরক্ষিত বনাঞ্চলের তিন কিমির মধ্যে ভাটা স্থাপন, এবং ইট পোড়ানোর ক্ষেত্রে ভাটায় কাঠ পোড়ানো সম্পুর্ণ নিষিদ্ধ । তাছাড়া ইট পোড়ানোর জন্য ড্রাম সিট চিমনি ৭৫,০০০টাকা , কংক্রিটের তৈরি ১২০ফুট চিমনির জন্য ১লাখ ৫০হাজার টাকা ভ্যাট দিতে হয়।
কিন্তু বাগমারা ইট ভাটা মালিকরা ঐ সকল টাকা পরিশোধ না করে জেলা ও স্থানীয় প্রশাসনের বেশ কিছু কর্মকর্তাদের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে প্রতি বছর সরকারী কর ফাকি দিয়ে তাদের ভাটা ব্যবসা,জোর তালে চালিয়ে যাচ্ছে। এবং ইট ভাটার কালো ধোয়া কারনে জমির ফসল, ফলদ বাগান নষ্টসহ মানব দেহের হাপানি, কাশি, চর্ম রোগসহ বিভিন্ন রোগ ব্যাধি বিস্তার লাভ হচ্ছে। এসকল ভাটা অচিরে বদ্ধর জন্য প্রশাসনের সু দৃষ্টি কামনা চেয়েছেন এলাকার সুধি মহল।