শামীম রেজা,বাগমারা প্রতিনিধি তখন সময় সকাল ৮ টা ৪০ মিনিট। বাড়ি থেকে প্রতিদিনের মতো স্কুলের ব্যাগ ঘাড়ে নিয়ে বিদ্যালয়ে যাচ্ছিলেন সিয়াম সরদার। বয়স প্রায় সাত বছরের মতো। বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার পথ যেতেই শংকরপৈ মোড়। মোড়ে উঠতেই পিছন দিক থেকে আসা একটি মটর সাইকেল ধাক্কা দেয়ার চেষ্টা করে। মটর সাইকেল দেখে দৌড় দিতে লাগলে পাকা রাস্তার উপরে পড়ে যায় শিশুটি। রাস্তার উপরে পড়ে গেলে মাথার পিছনে পিচের কানি ঢুকে রক্ত ঝরতে থাকে। সেই সময়ই ওই রাস্তা দিয়ে বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন বাগমারা আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। সাথে সাথে আশপাশের লোকজন এসে জড়ো হতে থাকে সেখানে।
ছেলেটিকে দেখে দ্রুত গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়েন তিনি। তাঁর গাড়িতে থাকা পানি দিয়ে সিয়ামের মাথা থেকে বের হওয়া রক্ত ধূয়ে দেয়ার চেষ্টা করেন। সেই সাথে তাঁর গাড়ি বহরে থাকা বাগমারা থানার পুলিশের গাড়িতে সিয়ামকে তুলে দিয়ে চিকিৎসার জন্য দ্রুত চিকিৎসকের নিকটে পাঠান। যাতে ভালো চিকিৎসা হয় সে জন্য অর্থও প্রদান করেন তিনি।
সিয়াম বাগমারা উপজেলার মচমইল রাখাল দাশ বিদ্যানিকেতনে কেজিতে লেখাপড়া করে। তার বাড়ি উপজেলার শংকরপৈ গ্রামে। পিতার নাম ফরহাদ হোসেন।
চোখের সামনে দূর্ঘটনার শিকার শিশুকে দেখে আর গাড়িতে থাকতে পারেননি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি। শিশুটির পিতা-মাতা সেই সময় কাছে না থাকলেও একজন অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করতে ভুলে যাননি এমপি এনামুল হক।