বরগুনার বামনা উপজেলার রামনা ইউনিয়নের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় গত রবিবার দিবাগত রাত ১২ টার পরে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামী করে বামনা থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে।
মামলার আসামীরা হলেন, উপজেলার রামনা ইউনিয়নের গোলাঘাটা গ্রামের আনন্দ সিকদারের ছেলে উত্তম সিকদার(১৯), আনন্দ সিকদার(৫০), উষা রানী(৪০) ও দক্ষিন খোলপটুয়া গ্রামের রফিক ফকিরের ছেলে মাসুদ ফকির(২০)।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার রামনা ইউনিয়নের গোলাঘাটা গ্রামের আনন্দ সিকদারের বখাটে ছেলে উত্তম সিকদার(১৯) দ্বির্ঘদিন ধরে ওই স্কুল ছাত্রীকে উত্তক্ত্য করে আসছিলো। এ ঘটনা একাধিকবার মেয়েটির বাবা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে জানালেও তারা এ বিষয়ে কোন উদ্যোগ গ্রহন করেন নি। পরে তিনি গত শনিবার সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে মেয়েকে নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগ দায়েরের পরে মেয়েকে স্কুলে রেখে বাবা বাড়ি চলে আসেন। প্রায় ঘন্টা দুয়েক পরে বিদ্যালয় ছুটি হওয়ার পরেও মেয়ে বাড়ি ফিরছেনা দেখে তিনি বিদ্যালয়ে ছুটে যান। বিদ্যালয়ে গিয়ে মেয়েটিকে আর পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে অনেক খোজাখুজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
পরে মেয়েটির বাবা গত রবিবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে বামনা থানায় বখাটে উত্তম সিকদার ও তার পরিবারের লোকজন সহ ৪ জনকে আসামী করে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে।
মামলা দায়েরের পর রাতে বামনা থানা পুলিশ ওই বখাটের বাড়িতে অভিযান চালালে বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
অপহৃতা অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রীর বাবা বলেন, আমার মেয়েকে আমার ভাইর ছেলে জোর করে তুলে নিয়ে গেছে। আমি আমার মেয়েকে ফেরত চাই। এই ছেলেটি অনেকবার আমার মেয়েকে এসিড নিক্ষেপের হুমকীও দিয়েছিলো।
অভিযুক্ত উত্তম শিকদারের বাবা আনন্দ শিকদার বলেন, আমার ছেলে এ কাজ করে থাকলে ওর শাস্তি হওয়া উচিত। আমরা সকল সম্ভাব্য স্থানে উভয়কে খুজেছি এখনো পায়ইনি।
সংশ্লিষ্টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নির্মল চন্দ্র শীল বলেন, গত শনিবার ওই মেয়েটি বিদ্যালয়ে আসছিলো । প্রথম ক্লাশের হাজিরা খাতায় তার উপস্থিতি ছিলো। তবে অপহরণ হয়েছে কিনা এ বিষয়ে আমি জানিনা।
রামনা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আ. খালেক জমাদ্দার বলেন, এটা আসলে অপহরণের ঘটনা নয়, এটা প্রেম সংঘটিত ঘটনা। তবুও মেয়েটির এখনো কিশোরী তাই এদের খুজে বেড় করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিৎ।
বামনা থানার অফিসার ইন চার্জ এস এম মাসুদুজ্জামান বলেন, গত রবিবার রাতে মেয়ের বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। থানা পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।