বরগুনার বামনায় ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মীদের চাকুরী স্থায়ীকরণের লক্ষে মানববন্ধন ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান কর্মসূচি পালন করেছে উপজেলার ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মী ঐক্য পরিষদ।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদের সামনে এ মানববন্ধনে উপজেলার চারটি ইউনিয়নের প্রায় আট শতাধীক ন্যাশনাল সার্ভিস প্রকল্পে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সংযুক্তি পাওয়া সাবেক কর্মীরা অংশ নেন। তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিউলী হরি’র মাধ্যম মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
প্রায় ঘন্টাব্যাপী চলা এ মানববন্ধনে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সকল প্রার্থীরা উপস্থিত হয়ে সংহতি প্রকাশ করেন।
মানববন্ধন পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্যদেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান সাইতুল ইসলাম লিটু, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম সাব্বির ফেরদৌস তালুকদার, জসীম উদ্দিন পিন্টু, বামনা প্রেমক্লাব সভাপতি ওবায়দুল কবির আকন্দ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ইয়াসির আরাফাত তালুকদার, নাজমুন্নাহার নাজু, রুমি খানম, ন্যাশনাল সার্ভিস ঐক্য পরিষদ আহবায়ক নিহার রঞ্জন হাওলাদার , সদস্য নাসির মোল্লা, বিপ্লব কুমার প্রিন্স, দেলোয়ার হোসেন, মনোতোষ হাওলাদার, মফিজুর রহমান ও মাহিমা আক্তার প্রমূখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী. মমতাময়ী মা চাইলে আমাদের কর্মসংস্থান করতে পারেন। আমাদের বিশ্বাস তিনি আমাদের সমস্যা বুঝবেন ও অচীরেই কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবেন।
উল্লেখ্য নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি ঘরে ঘরে চাকুরী দেওয়ার প্রতিশ্রুতি মোতাবেক পাইলট প্রকল্প হিসেবে সম্পূর্ন অস্থায়ীভিত্তিতে প্রাথমিকভাবে সারা বাংলাদেশের দুটি উপজেলায় ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচির আওতায় বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হয়। প্রাথমিক ভাবে দক্ষিনের জেলা বরগুনা ও মঙ্গাকবলিত জেলা কুড়িগ্রামে এই ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি শুরু করা হয়। ২০১০ সালের এপ্রিল মাসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বরগুনায় এসে এই পাইলট প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন করেন। তার পরের মে মাসের প্রথম দিন থেকে বরগুনার বামনা উপজেলার ৯৩৭ জন প্রকৃত বেকার যুবক ও যুব মহিলাদের দুইমাস প্রশিক্ষনের মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে সহায়ক কর্মচারী হিসেবে সংযুক্তি প্রদান করা হয়। প্রশিক্ষনকালীন সময় থেকে সংযুক্তি হওয়ার পর থেকে প্রতি দিন ২শত টাকা করে মাসে ৬হাজার টাকা ভাতা পেতো উপজেলার ৯৩৭জন বেকারা।