বরগুনা সংবাদদাতাঃ
বরগুনার বামনায় প্রতিশোধ নিতে ছাগলের পেটে ধারালো ছুরি বসিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এমন নির্দয় ঘটনাটি ঘটিয়েছেন সরকারি বামনা সারওয়ারজান পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
২৯ নভেম্বর উপজেলার পশ্চিম সফিপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে ছাগলটির পাকস্থলী কেটে গেছে। এ ঘটনার অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার থেকে তদন্ত শুরু করেছে বামনা থানা পুলিশ।
ছাগলটির মালিক বামনা উপজেলার পশ্চিম সফিপুর গ্রামের মো. সৈকত হাওলাদার বলেন, শত্রুতার জেরে আমার ছাগলটিকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে পাঁজরে ছুরি বসিয়ে দিয়েছেন শিক্ষক জাহাঙ্গীর। এর আগেও আমার পরিবারকে ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়েছেন তিনি।
অভিযুক্ত শিক্ষক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমার জমিতে রোপণ করা ধানের চারা খেয়ে নষ্ট করে ফেলেছে সৈকত হাওলাদারের ছাগল। তাই ছাগলের কাছ থেকে ধানক্ষেত সুরক্ষিত রাখতে বেষ্টনী দিচ্ছিলাম। এমন সময় ফের ক্ষেতে এসে ধানের চারা খাওয়া শুরু করে ছাগলটি। তখন আমি তাড়িয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে হাতে থাকা ছুরিটি ছাগলটির দিকে ছুড়ে মারি। এতে ছাগলের শরীরে ছুরিটি লাগে।
এদিকে ছাগলের মালিক সৈকত বলেছে, ছাগলটি ছুরি পেটে যখন আর্তচিৎকার করে দৌড়াচ্ছিল আমি ছাগলের ডাক শুনে ছুটে এসে দেখি ছুরি তুলে নেয়ার জন্য জাহাঙ্গীর মাষ্টার ছাগলের পিছু পিছু দৌড়াচ্ছে। অনেক প্রত্যক্ষদর্শী তা দেখেছে।
এ ব্যাপারে বামনা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ড্রেসার মো. শেলিম খান বলেন, ছুরিবিদ্ধ হয়ে ছাগলটির পাকস্থলী চার ইঞ্চির মতো কেটে গেছে। ছাগলটির বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে আমরা সাধ্য অনুযায়ী ছাগলটিকে বাঁচানোর চেষ্টা চালাচ্ছি।
বামনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, এরই মধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ব্যপারে ইতোমধ্যেই প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।