চোট ও লাল কার্ডের খড়্গে জেরবার বাংলাদেশের রক্ষণ। ওদিকে প্রতিপক্ষ বুরুন্ডির দুর্দান্ত আক্রমণ ভাগ। বঙ্গবন্ধু গোল্ড কাপের সেমিফাইনাল যেন জামাল ভূঁইয়াদের জন্য একরকম অগ্নিপরীক্ষাই।
বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের সেই ‘অগ্নিপরীক্ষার’ ম্যাচটি শুরু হবে বিকেল পাঁচটায়। এর আগে বুধবার প্রথম সেমিফাইনালে সিশেলসকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে ফিলিস্তিন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীর টুর্নামেন্ট। ফাইনালের ওঠার জন্য তাই প্রত্যাশার আলাদা চাপ বাংলাদেশ দলের ওপর। কিন্তু পরিসংখ্যান, বাস্তবতা বলছে ফাইনালে যেতে হলে বুরুন্ডির বিপক্ষে নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিয়ে খেলতে হবে বাংলাদেশকে।
২০১৫ সালে সর্বশেষ বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর ২০১৬ এবং ২০১৮ সালে দু’বারই বাংলাদেশকে বিদায় নিতে হয়েছিল সেমিফাইনাল থেকে।
বুরুন্ডির আক্রমণভাগ শক্তিশালী হলেও রক্ষণ দুর্বল বলে মনে করছে বাংলাদেশ দল। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের লক্ষ্য আক্রমণাত্মক ছকে প্রতিপক্ষকে বধ করা।
দলের সেন্টার-ব্যাক পজিশনে দু’ প্রধান পছন্দ ইয়াসিন খান এবং তপু বর্মণকে ছাড়াই আজ মাঠে নামতে হবে জেমি ডে’র শিষ্যদের। ইয়াসিন চোটে। তপু আগের ম্যাচে পেয়েছেন লাল কার্ড।
তাদের স্থলে কারা খেলবেন, এটা নিয়ে সেভাবে খোলাসা করে কিছু বলেননি ইংলিশ কোচ। তবে তরুণ রিয়াদুল হাসানের সঙ্গে রায়হান হাসান এবং জাতীয় দলে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা মনজুরুর রহমান মানিকের যে কোনো একজনকে দেখা যেতে পারে এই পজিশনে।
বুরুন্ডির আক্রমণভাগকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েই বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে প্রি ম্যাচ কনফারেন্সে বলেছেন, ‘বুরুন্ডি আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে অভ্যস্ত। তাই এই ম্যাচটা হতে যাচ্ছে আমাদের ডিফেন্ডারদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। তাদের শক্ত থাকতে হবে। হতে হবে সংঘবদ্ধ। পারস্পরিক সমঝোতাও বড়াতে হবে । আমরা প্রতি আক্রমণ নির্ভর ফুটবল খেলে অভ্যস্ত। এটা যদি কালকের (আজ) ম্যাচে করতে পারি, তবে আমরা অনেক সুযোগ পাব। সেগুলো কাজে লাগাতে পারলে ম্যাচটা আমরা জিতব। কারণ তাদের দেখেছি প্রতিপক্ষকে গোলের সুযোগ করে দিতে। এই সুযোগটাই আমাদের কাজে লাগাতে হবে।’
চোট কাটিয়ে জামাল ভূঁইয়া ফিরছেন এ ম্যাচে। বললেন, ‘আমরা জানি ওদের আক্রমণভাগ খুব শক্তিশালী। তাই আমাদের অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে এবং মনঃসংযোগ বাড়াতে হবে। এটা কঠিন ম্যাচ, তবে আশা করছি ম্যাচটা আমরাই জিতব।’