আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নওগাাঁর সাপাহারে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব
শাহজাহান হোসেন বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় সাপাহার উপজেলা আওয়ামীলীগের এক জরুরী সভার মাধ্যমে তাকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তা মাইক যোগে বহিস্কারের ঘোষনা দেয়ার চেষ্টা করলে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা তা বন্ধ করে দেয় এবং সঙ্গে সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে বহিস্কার হয়নি মর্মে মাইকিং করা হয় ।
জানাগেছে, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে নওগাঁর সাপাহারে প্রথম থেকেই মনোনয়ন বিষয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব শামসুল আলম শাহ চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শাহজাহান হোসেন দীর্ঘ দিন যাবত মনোনয়ন নেওয়ার জন্য দৌড় ঝাপ করে আসছিল এক পর্যায়ে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামসুল আলম শাহ চৌধুরীকে কেন্দ্র থেকে নৌকার মাঝি মনোনীত করলে তৃনমূল নেতাকর্মীদের সমর্থন নিয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামসুল আলম শাহ চৌধুরী ভোটের প্রচার শুরু করেন।
কিন্তু প্রার্থী চূড়ান্ত করার আগে ভোটের আগে যে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছিল সে ভোটে দলের সাধারণ সম্পাদক বিদ্রোহী প্রার্থী আলহাজ্ব শাহজাহান হোসেন ১ ভোট বেশি পেয়ে জয়লাভ করেছিলেন তারপরও তাকে নৌকার মাঝি না করায় সে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সমর্থনে ভোট করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় নেমে পড়েন।
এর পর গত শুক্রবার উপজেলা আওয়ামীলীগের এক সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক বিদ্রোহী ওই প্রার্থী শাহজাহান হোসেনকে দল থেকে বহিস্কারের ঘোষনাপত্রটি রবিবার সকালে প্রকাশ্যে মাইকিং করে উপজেলাবাসীকে জানাতে গেলে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকেরা মাইকটি বন্ধ করে দিয়ে কেন্দ্র থেকে আসা বহিস্কারের কাগজ দেখতে চায়। তাতে প্রচারকারী অটো চালক কাগজপত্র দেখাতে ব্যার্থ হলে তাদের মাইকটি বন্ধ করে দেন।
সদরের জিরো পয়েন্ট এলাকায় বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকেরা প্রতিবাদ বিক্ষোভ করলে ভূমি কমিশনারের নেতৃত্বে পুলিশ বিক্ষোভে বাধা দিলে বিদ্রোহী প্রার্থী বলেন আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলে তার সমর্থকদের নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসরের কার্যালয়ে মৌখিক অভিযোগ করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কল্যাণ চৌধুরী ঘটনাটি শান্ত করতে উভয় পক্ষের মাইকিং বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়।
বর্তমানে দুই প্রার্থীর নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মাঝে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে, যে কোন মহুর্তে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে এলাকার অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন।
এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামসুল আলম শাহ জানান,এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক পুলিশ উপস্থিত হয়ে জিরো পয়েন্ট এলাকার নেতাকর্মীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।