২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

samakalnew24
samakalnew24
শিরোনাম:
মহা পরিচালকের কৃষি অফিস পরিদর্শন; কর্মকর্তাদের সাথে... বকশীগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রারকে হত্যার হুমকি, ২২ জনের নামে... ফেইসবুকের প্রেমের টানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবক... কালাইয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত বরগুনায় ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত

বিলুপ্তির পথে,কলু সশম্প্রদায়

  সমকালনিউজ২৪

মেহেদী হাসান উজ্জল,ফুুলবাড়ী (দিনাজপুর) ::

কৃত্রিম সরিষার তেল বাজার দখল করায় দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে কলু সম্প্রদায় প্রায় বিলু্িপ্তর পথে। ফলে খাঁটি সরিষা তেলের স্বাদ পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। আগে দিনরাত গরু দিয়ে কাঠের ঘানির সাহায্যে ফোটায় ফোটায় নিংড়ানো খাঁটি সরিষার তেল বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে মাটির হাড়িতে ফেরি করে বিক্রি করা হতো। অবশ্য হাট-বাজারে গুলোতেও ওই তেল বিক্রি করা হতো। এ তেল বিক্রি করেই জীবন-জীবিকা নির্বাহ করতেন এক শ্রেনীর কলু সম্প্রদায়। যুগের পরিবর্তনে এখন তা বিলুপ্ত প্রায়।

দিন বদলের সাথে সাথে আধুঁনিকতার ছোঁয়ায় গড়ে উঠেছে বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান। আর নতুন নতুন প্রযুক্তি যুক্ত হচ্ছে এসব শিল্প প্রতিষ্টানে। কলু সম্প্রদায়ও এর প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারেনি। এখন কাঠের ঘানির পরিবর্তে প্রযুক্তির আর্শিবাদে ইলেক্ট্রিক লোহার ঘানিতে ভাঙ্গা হচ্ছে সরিষার সাথে বিভিন্ন দ্রব্যাদি। ইলেকট্রিক মোটর দ্বারা লোহার এ ঘানি গুলোতে কেবল সরিষায় নয় তিল, তিশি, পাম ও সোয়াবিনও ভাঙ্গা হয়।

তবে কোন কোন লোহার ঘানিতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা সরিষার সাথে চালের গুড়া,পিয়াজ,শুকনা মরিচসহ অন্যান্য দ্রব্য মিশ্রনে ভেজাল সরিষার তৈল উৎপাদন করছে। ভেজাল এ কৃত্রিম তেল দখল করেছে তেলের বাজার । আর ওই ভেজাল সরিষার তৈল খেয়ে শরিরে বাসা বাঁধছে নানা রোগ জিবানু ।

এদিকে কৃত্রিম তেল তারা কম দামে বিক্রি করতে পারলেও, কাঠের ঘানিতে খুলু(কলু) সম্প্রদায় দিন-রাত পরিশ্রম করে যে খাঁটি সরিষার তেল উৎপাদন করতেন তা কম দামে বিক্রি করতে পারছেন না। ফলে প্রতিযোগীতায় টিকে থাকতে পারছেন না কুল স¤প্রদায়। সে কারনেই এখন কলু সম্প্রদায় বিলুপ্তি পথে।

তবে খুলুদের ঐতিহ্য ধরে রাখতে তারা সাহা পদবী ব্যবহার করে থাকেন। সাহ পদবী ব্যবহারকারী লোকজন এখনও খুলু সম্প্রদায় বলে পরিচিত।

জানা গেছে, ফুলবাড়ী পৌর এলাকার কাঁটাবাড়ী সুজাপুর, তেতুলিয়া, স্বজনপুকুর, মাদিলা, হড়হড়িয়াপাড়া, শিবনগরসহ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জ এলাকায় কলু সম্প্রদায়ের লোকেরা কাঠের ঘানিতে তেল উৎপাদন করতেন। দু’এক জায়গায় ঘানী ব্যাবহার হলেও বেশির ভাগ এখন বিলুপ্ত প্রায়।

কৃত্রিম সরিষার তেল বাজার দখল করায় তারা এ ব্যবসা বাদ দিয়ে বিভিন্ন পেশায় আত্মনিয়োগ করেছেন। কাঁটাবাড়ী গ্রামের নন্দলাল সাহা বলেন, আমার বাপ-দাদার মুল ব্যবসাই ছিল কাঠের ঘানিতে সরিষার তেল উৎপাদন করা।

বর্তমান সময়ে এ তেলের চাহিদা থাকলেও উৎপাদন করে পুষিয়ে উঠা কঠিন তাই আধুনিক যন্ত্রপাতি দ্বারা তেল মাড়াই করছি। একই এলাকার টুনটুন সাহা বলেন, আগে আমি বাবার সাথে কাঠের ঘানি দিয়ে তেল উৎপাদন করে বাজারে বিক্রয় করতাম,বর্তমানে যুগের পরিবর্তনে এ পেশায় তেমন আর লাভ না হওয়ায় একই কাজ অন্যভাবে করছি,পাশাপাশি অন্য ব্যাবসা বেছে নিয়েছি।

প্রতিদিনের খবর পড়ুন আপনার ইমেইল থেকে
দিনাজপুর বিভাগের সর্বশেষ
দিনাজপুর বিভাগের আলোচিত
ওপরে