চট্টগ্রাম কর্ণফুলী থেকে হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীণ মঞ্চ নাটক। এক সময় খুবই জনপ্রিয় ছিল চাঁদনী রাতে হাটে বাজারে বসা গ্রাম্য নাটকের। মধ্যরাত যখন কুয়াশায় ডাকা থাকত, তখনও মহল্লায় জমে ওঠতো মঞ্চ নাটক, পালা গান, জারি গান ও পুঁথির আসর।
সবই যেন এখন অতীত। দর্শকরা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে তা নয়। বরং গ্রামে গ্রামে মঞ্চের অভাবে কমে গেছে মঞ্চ নাটক এমনটি ধারণা অনেকের। ফলে গ্রামীণ সংস্কৃতি আর ঐতিহ্য হারাচ্ছে গ্রামের সাধারণ মানুষ। অথচ নাটক শুধু বিনোদন নয়, নাটক বিবেকের কথা বলে। নাটক জীবনের কথা ফুটিয়ে তুলতো।
অনেক দর্শকদের অভিমত এমন বিনোদন সারা দেশের মতো কর্ণফুলী হতেও এসব শিল্প সংস্কৃতি বিলিন হতে বসেছে। মাঝে মধ্যেও এখন আর ও রকম প্রানবন্ত আয়োজন দেখা যায়না।
যদিও গ্রামের মঞ্চ নাটকের বয়স কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতার সমবয়সী। এ দেশে নাটক হয়েছে দুইশ বছরের উপরে। স্বাধীনতার পরপরই গ্রূপ থিয়েটার বা গ্রাম্য নাটক চর্চা শুরু হয়েছে। সিংহভাগ নাটক সামাজিক বিষয়বস্তু নিয়ে নির্মিত হতো।
বাংলার বৈচিত্রে ভরপুর ঐতিহ্যবাহী যাত্রাপালা আর পুরাণ কাহিনী। সেই অনাদিকাল থেকে দেখে আসছি যাত্রা গান। অপূর্ব লীলা নর্তন। যাত্রাদল আসলেই হৈ হৈ, রৈ রৈ পড়ে যেত পাড়া-মহল্লায়। যাত্রা মানেই ফূর্তি, নাটক মানেই আনন্দ, পুঁথি মানেই জীবন কাহিনী। যেখানে যাত্রা, সেখানেই শত শত মানুষ, সেখানেই হুক্কার টানে অফুরান আয়োজন হতো।
শিশু-কিশোর বয়স থেকেই যাত্রা পালা ও নাটক দেখে আসছিল উপজেলার আব্দুল মালেক। যাত্রা দলের পেছনে ঘুরেছে কত রাত, কত আনন্দই না উপভোগ করেছিল বলে জানান।
নাটক রিহার্সেল থেকে শুরু করে মঞ্চায়ন পর্যন্ত নাটক পাড়ায় লোক সমাগম লেগেই থাকত, কি যে আনন্দ। আজ তার কিছুই নেই। যেদিন নাটক মঞ্চায়ন হলে মঞ্চ এলাকায় থাকতো লোকে