ইউরোপিয় ইউনিয়নসহ বিশ্বের ৮টি দেশের পর্যটক নিয়ে মোংলা বন্দরে পৌছেছে আর্ন্তজাতিক সমুদ্রগামী পর্যটকবাহী জাহাজ সিলভার ডিসকভার। রোববার দুপুর তিনটার দিকে ৬১ জন বিদেশী পর্যটক নিয়ে মোংলা বন্দরের জেঠিতে ভিড়ে জাহাজটি।
কাস্টমস ইমিগ্রেশন,বন বিভাগের রিভিনিউসহ সকল আনুষ্ঠানিকতা সম্পর্ণ করে গভীর রাতে সুন্দরবনে উদ্যেশে যাত্রা করবে সিলভার ডিসকভার। ২৮ জানুয়ারী থেকে ৩০ জানুয়ারী পর্যন্ত সুন্দরবনের বিভিন্ন স্পট গুলো গুরে দেখবেন ভিন দেশী পর্যটকরা। আমেরিকান ব্যাক্তি মালিকানা পর্যটকবাহী জাহাজটিতে ৬১জন পর্যটক ছাড়াও ৯৬ জন নাবিত কর্মরত রয়েছেন।
সুন্দরবনে আসা ওইসব পর্যটকরা এর আগে আরো কয়েকটি দেশ গুরে ভারতের চেন্নাই হয়ে মোংলা বন্দরে প্রবেশ করে। আন্তজাতিক পর্যটকবাহী সিলভার ডিসকভার জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট মোহাম্মদ আলী আকবর জানান, আগামী ৩১ জানুয়ারী মহেশখালী অবস্থান করে পরের দিন মায়ানমারের উদ্যের্শে যাত্রা করবে পর্যটকবাহী জাহাজ সিলভার ডিসকভার। চলতি মাসের ১২ জানুয়ারী ও ২২ জানুয়ারী এবং ফেব্রয়ারী মাসে নতুন পর্যটক নিয়ে আরো তিন বার বাংলাদেশে আসবে ওই জাহাজটি।
এদিকে ট্রাভেল এন্ড টুরস প্রতিষ্ঠান পাগমার্ক এর মালিক ও সিলভার ডিসকভার এর বাংলাদেশী প্রতিনিধি মোঃ নজরুল ইসলাম বাচ্ছু জানান, আমেরিকা, কানাডা ও লন্ডনসহ বিশ্বের ৮টি দেশের পর্যটক নিয়ে সিলভার ডিসকভার বাংলাদেশে ২০১৭ সালেও এসেছে। তারই ধারাবাহিকতায় চলতি বছরে বাংলাদেশে তিন বার পর্যটক নিয়ে আসবে ওই জাহাজটি।
এর ফলে কাষ্টম,বনবিভাগ আর সংশ্লিষ্ট সকলেই আয় করবেন এখাত থেকে। আর্ন্তজাতিক অঙ্গনে প্রচার প্রচারনা বাড়বে সুন্দরবনের। আগামীতে সুন্দরবনে বাড়বে ভিন দেশী পর্যটকদের সংখ্যা এমন প্রত্যাশ এ ব্যবসায়ীর।
অন্য দিকে মংলা কাস্টমস হাউজের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা শেখ রাসেল রানা জানান,ভিন দেশী পর্যটক বা কোন নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রে খুব সচ্ছতা আর আন্তরিকতার সহিত সকল প্রক্রিয়া সম্পর্ন করা হবে কাস্টমস এর পক্ষ থেকে। যাতে করে বাংলাদেশ বা বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোর প্রতি বিদেশিদের আগ্রহ বাড়ে সে লক্ষে কাজ করছে কাস্টমস কতৃপক্ষ।