‘মা’ এক শব্দেই তার পূর্ণতা। মিষ্টি এক ডাক। মা’কে ভালোবাসার নাই কোনো নির্দিষ্ট দিন। মায়ের জন্য ভালোবাসা চিরন্তন। তবে বিশ্ব মা দিবসের ধারণার প্রবর্তন করেন মার্কিন পরিচ্ছন্নতাকর্মী অ্যান জার্ভিস। প্রাচীন গ্রিসে পালন করা হতো মা দিবস। প্রতি বসন্তের একটি দিনে দেবতাদের মা ‘রিয়া’কে উদ্দেশ্য করেই পালিত হতো মা দিবস।
মাকে মহান আল্লাহ তা’য়ালা স্বীয় রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সালামের পরে সর্বোচ্চ আসন দিয়েছেন। পবিত্র আল কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তোমার প্রতিপালক আদেশ দিয়েছেন, তিনি ব্যতীত অন্য কারও ইবাদত না করতে এবং মাতা-পিতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করতে। তাঁদের একজন অথবা উভয়ে তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হলে তাঁদের ‘উফ্’ বলবে না এবং তাঁদের ধমক দেবে না; তাঁদের সঙ্গে সম্মানসূচক কথা বলবে। মমতাবশে তাঁদের প্রতি নম্রতার ডানা প্রসারিত করো এবং বলো, ‘হে আমার প্রতিপালক! তাঁদের প্রতি দয়া করো, যেভাবে শৈশবে তাঁরা আমাকে প্রতিপালন করেছেন।’ (সুরা ইসরা-বনি ইসরাইল, ২৩-২৪)। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘সন্তানের জান্নাত মায়ের পদতলে।’
সপ্তাহের প্রতি রবিবার সকালে অ্যানা জার্ভিস নিজের প্রতিষ্ঠিত সানডে স্কুলে বাচ্চাদের নিয়ে করতেন বাইবেল পাঠ। বাচ্চাদের দেখে তার মায়ের কথা মনে পড়ে যেত। এ থেকেই ১৯০৫ সালে মা’কে ভালোবাসা ও সম্মান জানাতে প্রবর্তন করেন মাদার্স ডে বা মা দিবসের। স্বীকৃতি ও প্রসার ঘটে ১৯১৪ সালে।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন সর্বপ্রথম মা দিবসকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন। ১৯১৪ সালের ৮ই মে মার্কিন কংগ্রেসে মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার ‘মা’ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেই থেকে আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হচ্ছে মা দিবস। ১৯২০ সাল নাগাদ বিশ্বের প্রায় সব দেশে মা দিবসের প্রচলন শুরু হয়।