গত বছরে ভাল ফলন হওয়ায় এবার ব্যাপক হারে বোরো ধান চাষে ঝুঁকে পড়েছেন নাটোরের সিংড়ার চলনবিলাঞ্চলের চাষীরা। বীজ, সার ও কীটনাশকসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় খুশি কৃষকেরা প্রত্যাশা করছেন বাড়তি ফলনের। আর, তেলের দাম কম থাকার পাশাপাশি বিদ্যুত সরবরাহও রয়েছে স্বাভাবিক। সব মিলিয়ে লক্ষ্যমাত্রার চাইতে বেশী ধান উৎপাদিত হবে বলেই মনে করছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ। এখানকার কৃষকেরা বলছেন, বীজ, সার ও কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। সেই সাথে তেলের দাম এবার কিছুটা কম। পাশাপাশি বিদ্যুত সরবরাহও স্বাভাবিক।
গত কয়েক বছরের মত চলতি মৌসুমে প্রচন্ড শীত ও ঘন কুয়াশা না থাকায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাড়তি ফলনের আশা করছেন চাষীরা।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায় এবার ৩৪ হাজার ৫ শত ৬৩ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। এরই মধ্যে ২২হাজার ১৫ হেক্টর জমিতে বোরো রোপন সম্পন্ন হয়েছে।
উপজেলার চলনবিল অধ্যুষিত রাখাল গাছার মাঠ,তেলিগ্রামের মাঠ,চৌগ্রামের মাঠ,ডাহিয় ও ইটালীর মাঠ ঘুরে কৃষকদের বোরো ধান রোপণের দৃশ্য চোখে পড়ে।দল বেধে তারা জমিতে চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছে।
রাখালগাছার কৃষক করিম- বলেন এবছরে আবহাওয়া ভালো থাকায় বীজ তোলায় কোন চারা নষ্ট হয় নাই তাই কোন চিন্তা ছাড়াই ভালো ভাবে ধান রোপণ করতে পারছি।
আয়েশ গ্রামের কৃষক বাহা উদ্দিন শেখ বলেন- আমার ৩০ বিঘা জমি এক সপ্তাহ আগেই ধান রোপণ শুরু করেছি। ইতি মধ্যে ২০ বিঘা ধান রোপণ শেষ করেছি।আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে বাকি জমি রোপণ শেষ করব।
ইটালী গ্রামের কৃষক টিপু সুলতান বলেন- ধানের ন্যায্যমূল্য না থাকায় আমি গত ২ বছর ভূট্টা চাষ করি এবছর আমি আবারো আমার ১০ বিঘা জমিতে ধান চাষ শুরু করেছি এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় কোন বালা মসিমব্বত ছাড়াই ধান রোপণ শেষ করেছি তাই আশা করছি ভালো ফলন পাবো।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন- চলনবিল অধ্যুষিত উপজেলার পুরোটাই বোরো ধান চাষ হয়। এবছর বন্যার পানি আগাম নেমে যাওয়ায় এবং ঘন কুয়াশা ও প্রচন্ড শীত না থাকায় কৃষকরা উৎসব মুখরে মৌসমের শুরুতেই ধান রোপণ শুরু করেছে। আশা করা যাচ্ছে এবছর লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে এবং ভালো ফলন পাবে।