ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় আগুনে পাঁচ শিশুসহ নয়জন দগ্ধ হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় সদরের দক্ষিণ কুট্টাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বের হয়ে পাশের ঘরের চুলার আগুনের সংস্পর্শে আসায় অগ্নিকাণ্ড থেকে এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে কালু মিয়া (২৮), আবদুর রহমান (৮), ইয়ামিন মিয়াকে (৮) আজ শনিবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া শিউলি বেগম (২৫), জরিনা বেগম (৩০), সাইমা বেগম (১০) ও তাসলিমা বেগমকে (১০) জেলা সদর হাসপাতালে এবং একলাছ মিয়া (২৫) ও ইব্রাহিম মিয়াকে (১৮) স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আনাস ইবনে মালেক বলেন, একলাছ মিয়া ও ইব্রাহিম মিয়ার শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁদেরও ঢাকায় পাঠাতে হবে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের ভাষ্য, প্রবাসী রাসেল মিয়ার পাকা বসতঘরের পাশেই একটি ছাপড়া রান্নাঘর রয়েছে। গতকাল রাসেল মিয়ার ঘরে কেউ ছিল না। সন্ধ্যায় তাঁর স্ত্রী ফিরে এসে দরজা খুলতেই ঘরে আগুন ধরে যায়। ওই ঘরে এলপি গ্যাসের একটি সিলিন্ডার ছিল।
স্থানীয় লোকজনের ধারণা, সিলিন্ডারের গ্যাস পাইপের কোনো সূক্ষ্ম ছিদ্র থেকে গতকাল সারা দিন গ্যাস বের হয়। এ সময় ঘরে কেউ না থাকায় তা টের পাওয়া যায়নি। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে রাসেলের স্ত্রী শিউলি বেগম বাড়িতে ফিরে ঘরের দরজা খুলতেই গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। তা রান্না ঘরে গিয়ে চুলার আগুনের সংস্পর্শে এলে দুই কক্ষের টিনশেড পাকা ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ওই বাড়িতে রাসেল মিয়ার বাবা, ভাই-বোন, চাচার পরিবার সবাই থাকেন। আগুনে ঘর দুটির সব আসবাবপত্র পুড়ে গেলেও সিলিন্ডারটি অক্ষতই রয়েছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলী আরশাদ জানান, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসার আগেই এলাকাবাসী আগুন নেভাতে সক্ষম হন।