২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

samakalnew24
samakalnew24
শিরোনাম:
মহা পরিচালকের কৃষি অফিস পরিদর্শন; কর্মকর্তাদের সাথে... বকশীগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রারকে হত্যার হুমকি, ২২ জনের নামে... ফেইসবুকের প্রেমের টানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবক... কালাইয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত বরগুনায় ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত

ব্ল্যাক ফ্রাইডে কী? কীভাবে এলো ব্ল্যাক ফ্রাইডে?

  সমকালনিউজ২৪

ক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বে ব্যাপক জনপ্রিয় ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেল চলছে বাংলাদেশেও। অর্থনৈতিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ব্ল্যাক ফ্রাইডে’তে যুক্তরাষ্ট্রে যে পরিমাণ বেচাকেনা হয়, তাতে একদিনেই দেশটির অর্থনীতির সূচক একলাফে অনেকটা উপরে উঠে যায়। নভেম্বরের চতুর্থ বৃহস্পতিবার থ্যাংকস গিভিং ডে’র পর মধ্যরাত থেকেই শুরু হয় ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’। কিন্তু কীভাবে এলো এই ব্ল্যাক ফ্রাইডে? কেনই বা একে ব্ল্যাক ফ্রাইডে বলা হয়?

মূলত যুক্তরাষ্ট্রেই ব্ল্যাক ফ্রাইডে পালন করা শুরু হয়। দিনটিতে ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যগুলোতে বিশেষ মূল্যছাড় দিয়ে থাকে। মার্কিন রীতি অনুযায়ী থ্যাংকস গিভিং ডে’র পর থেকেই শুরু হয় ক্রিসমাস হলিডে সিজন। মানুষ তাদের পরিবার ও বন্ধু বান্ধবদের জন্য বড়দিনের উপহার কিনতে শুরু করে। ১৮৬৯ সালের দিকে যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দা চলছিল। ব্যবসায়ীরা তখন মন্দা থেকে উত্তরণের উদ্দেশে একটি বিশেষ দিনের কথা ভাবছিল, যেদিন বিশাল মূল্য ছাড়ে তারা তাদের পণ্যগুলো বিক্রি করবে। ক্রিসমাসের ছূটি সামনে থাকায় তারা থ্যাংকস গিভিং ডে’র পরের দিনটিকেই এর জন্য বেছে নিয়েছিলেন।

কালো বলতে সাধারণত শোক বা নেতিবাচকতা বোঝানো হলেও ব্যবসায়িক দিক থেকে কালো কালি ইতিবাচক দিককেই নির্দেশ করে। সাধারণত হিসাবের খাতায় ক্ষতিকে লাল কালিতে চিহ্নিত করা হয়। অন্য দিকে লাভের হিসাবগুলো কালো কালিতে লিখতে অভ্যস্ত ছিলেন ব্যবসায়ীরা। কাজেই ব্যবসায় বিরাট লাভ দিয়ে যে দিনটি শুরু হয়, সেই দিনটিকে তারা ব্ল্যাক ডে নামেই অভিহিত করতে শুরু করেছিলেন। ইতিহাসবিদদের মতে, ব্ল্যাক ফ্রাইডে নামটির পেছনে আরও কিছু কারণ রয়েছে। থ্যাঙ্কস গিভিং ডের ঠিক পরের দিন কেনাকাটার জন্য মানুষের ভিড়, ট্র্যাফিক জ্যাম সব কিছুই মহা বিরক্তির কারণ হতো। যানবাহন ও ভিড়-বাট্টা সামলাতে হিমশিম খেত কর্তৃপক্ষ। এখান থেকেই `ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ নামটির উদ্ভব হয় বলে দাবি করেন অনেকে।

অনেকে আবার মনে করেন, ব্ল্যাক ফ্রাইডে নামটির অন্য কারণ আছে। ব্ল্যাক ফ্রাইডে শুরু হয় মাঝরাত থেকে। রাত থেকেই স্টোরগুলোর বাইরে ক্রেতাদের লাইন ধরা শুরু হয়। ভোরের আলো ফোটার আগেই দোকানগুলো খুলে দেওয়া হয়। দোকানের প্রবেশ পথ খোলার সঙ্গে সঙ্গে হুড়মুড় করে সবাই ভেতরে ঢুকে নিজেদের পছন্দমতো পণ্য কিনে নিতে শুরু করে। বিশেষ মূল্যছাড়ের কারণে ঘন্টা খানেকের মধ্যেই দোকানগুলো খালি হয়ে যায়। অর্থাৎ দিনের আলো ফোটার আগেই পুরো কাজটি শেষ যায়। একারণেই এর নাম হয় ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’।

প্রতিদিনের খবর পড়ুন আপনার ইমেইল থেকে
অর্থনীতি-ব্যবসা বিভাগের আলোচিত
ওপরে