কদিন আগে থেকেই শোনা যাচ্ছিল ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেবে। আজ হঠাৎ করে পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই ভারত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে। যদিও আজ পেঁয়াজ আমদানীর শেষ দিনে বেনাপোল বন্দরে খুলনার এক আমদানীকারকের ৮০ মেঃটন পেঁয়াজ আমদানী হয়েছে। বিকাল থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ হবার খবর ছরিয়ে পড়াই বেনাপোলসহ যশোরের সব গুলো পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে ওঠে।
বেনাপোলের একজন পেঁয়াজ আমদানীকারক জানান, বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার নির্ভর করে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানী উপর। ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় বাজারে পেঁয়াজের মুল্য বেড়ে যাবে এবং এর দীর্ঘ মেয়াদী প্রভাব পড়বে ভোক্তাদের উপর। পেঁয়াজ আমদানী বন্ধের খবর পেয়ে বেনাপোল সহ যশোরে সর্বত্র ৫০ টাকার পেঁয়াজ আজ সন্ধ্যায় ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দোকানীরা জানান, আগামীকাল থেকে পেঁয়াজের বাজার মুল্য আরো বেড়ে যাবে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানীর বন্ধ হওয়ায় আগামীকাল থেকে ১শ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনতে পাওয়া যাবে না।
বেনাপোল কাস্টমসের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা বলেন, ভারত পেঁয়াজের রপ্তানি বন্ধ করে দেবে খবরটি আমদানীকারক ও সিএন্ডএফ এজেন্ট এর কাছ থেকে আগেই জেনেছিলাম। বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে পেঁয়াজের একটি বড় আমদানীকারক।ভোক্তাদের চাহিদা একটি বড় অংশ ভারত থেকে আমদানী করা হয়। বেনাপোল দিয়ে প্রতিদিন প্রায় একশত মেট্রিকটন পেঁয়াজ আমদানী হয়। সেই হিসেবে গত ১ মাসে প্রায় আড়াই হাজার মেঃটন পেঁয়াজ আমদানী হয়েছে। বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার ভারতের উপর নির্ভরশীল। পেঁয়াজ আমদানী বন্ধ হওয়ার কারনে বাজারে মুল্য বেড়ে যাবে এবং ভোক্তারাও ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
‘বিদ্রঃ সমকালনিউজ২৪.কম একটি স্বাধীন অনলাইন পত্রিকা। সমকালনিউজ২৪.কম এর সাথে দৈনিক সমকাল এর কোন সম্পর্ক নেই।’