২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

samakalnew24
samakalnew24
শিরোনাম:
ফরিদগঞ্জের প্রখ্যাত হোমিও ডাক্তার নারায়ণ চক্রবর্তীর... তাহেরপুরের তিনশত বছরের বৃক্ষের নাম আজো অজানা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রাণিসম্পদের বিকল্প নেই : ইউএনও... প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী সড়ক দুর্ঘটনায় সংগীতশিল্পী পাগল হাসান সহ নিহিত-২ আহত-৩

ভূমি ধসে ভেঙ্গেছে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ ঘর: প্রকল্প পরিচালক

  সমকালনিউজ২৪

বগুড়া প্রতিনিধিঃ

বঙ্গবন্ধুর জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে আশ্রয়হীনদের প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ ঘর গুলো অনিয়মের কারণে নয় ভূমি ধসে ভেঙ্গেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব মাহবুব হোসেন। শনিবার দুপুরে পাঁচ সদস্যের একটি টিম বগুড়ার শেরপুরে ভেঙ্গে পড়া ঘর পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপহার দুর্যোগ সহনীয় ঘর অবহেলা ও অনিয়মের কারণে ভেঙ্গে পড়েনি। ভূমি ধসের কারনে পাক ঘর ও টয়লেট ধসে পড়েছে। এগুলো টেকসই করতে আরসিসি পিলারও দিয়েও রক্ষা করতে পারেনি। পরবর্তীতে এমন যেন আর না হয় সেজন্য বাড়ীর সামনে শস্যক্ষেতের পানি, ঘরে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য ঘরের সামনে দিয়ে স্থায়ী ড্রেনেজ নির্মান করে পানিগুলো খালে নামিয়ে দেয়া হচ্ছে। তাহলে এই ঘরগুলো রক্ষা পাবে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক জিয়াউল হক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ময়নুল ইসলাম, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) শাবরিনা শারমিন, পিআইও সামছুন্নাহার শিউলী, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি তারিকুল ইসলাম তারেক, আব্দুল রশিদ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প আশ্রয়ণ-২ এর আওতায় অতিদরিদ্র ভূমিহীনদের জন্য সরকারিভাবে আধাপাকা বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। সে অনুযায়ী শেরপুর উপজেলায় দুই কোটি ৮৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। পরে দুই শতক করে খাস জমি বন্দোবস্ত দিয়ে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে অতিদরিদ্র ১৬৩টি ভূমিহীন পরিবারকে একটি করে আধাপাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হয়। দুই কক্ষ, রান্নাঘর ও টয়লেটসহ প্রধানমন্ত্রীর উপহারের প্রত্যেকটি বাড়ী নির্মাণে ব্যয় হয়েছে এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

এরই ধারাবাহিকতায় খানপুর ইউপির কয়েরখালি এলাকায় বুড়িগাড়ী নামক স্থানে খালের উপর ৩৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে ২২টি আধাপাকা বাড়ী নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে সুফলভোগীদের হাতে এসব বাড়ীর জমির দলিল ও বাড়ীর চাবি হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু বর্ষা মৌসুমের শুরুতে টানা বৃষ্টিতে দুর্যোগসহনীয় ৭টি ঘরের একাংশ করে ভেঙ্গে পরে।

প্রতিদিনের খবর পড়ুন আপনার ইমেইল থেকে
বগুড়া বিভাগের সর্বশেষ
ওপরে