সুবিশাল এ ধরণীতে অনেক প্রতিভাবান মানুষের আগমণ ও প্রস্থান ঘটেছে। কিন্তু মানুষের জন্য, মানবতার জন্য সৃষ্টিশীল মানুষ খুবই কম আছে, যারা তাদের সৃষ্টি কিংবা শিল্পকর্ম দিয়ে যুগ যুগ ধরে মানুষের মনে স্থায়ী জায়গা করে নেয়। শামিম আরা স্মৃতি তেমনি একজন মেধাবী এবং গুণী মানুষ যার প্রতিভার স্ফূরণ আমরা প্রতিনিয়ত তাঁর লেখনী এবং শিল্পকর্মে খুঁজে পাই যা আলোকিত এবং উজ্জীবিত করে আমাদেরকে, আমাদের সমাজকে।
বলছিলাম প্রতিভার কথা; একাধিক প্রতিভার সম্মিলিত রূপ যেন ধরা দেয় এই গুণী মানুষটির মাঝে। তিনি একাধারে একজন ভালো বক্তা, অসাধারণ উপস্থাপিকা, মিষ্টি সুরেলা কণ্ঠের শিল্পী ও গুণী লেখক। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, ছোটদের জন্য ছড়া, ছবি আঁকায় রয়েছে তাঁর দূর্দান্ত পারদর্শিতা। তাঁর আঁকা ছবিগুলো বলে প্রকৃতির কথা, প্রাণের কথা, জীবনের কথা। এককথায় তিনি একজন সব্যসাচী মানুষ।
তিনি শুধু গান শুনতেই পছন্দ করেন না, গাইতেও ভালোবাসেন। তবে, লেখক হিসেবেই তিনি সর্বাধিক পরিচিত। ইতোমধ্যেই ৯টি গ্রন্থ বিভিন্ন প্রকাশনা থেকে বের হয়েছে। তিনি গল্প, কবিতা, ছড়া, গান ও উপন্যাস লেখায় সমান পারদর্শী। এ মায়াবী মানুষ কথা বলেই আপন করে নিতে পারেন সবাইকে।
তার উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলো হলো নীলাম্বরীর ছোঁয়া, নিয়তির নীলরঙে, দাবদাহ, ইচ্ছে ঘুড়ি, মরিচীকার ছায়াতলে, ফুলকুঁড়ি ও প্রজাপ্রতি।
গুণী এ মানুষটির দাবদাহ ও ইচ্ছে ঘুড়ি নামে দুইটি বই এবারের বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে। সবাইকে বইমেলায় তাঁর বই পড়ার আমন্ত্রণ জানাই এবং তাঁর উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।