আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১০ বছর পর অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে। এদিকে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি শরিফুল আলম বলেন বিএনপি বড় দল আর অনেক দিন পর আমরা নির্বাচনে যাচ্ছি, তাই মনোনয়নপ্রত্যাশী বেশি হওয়াই স্বাভাবিক৷ কেউ কেউ নিজেকে জানান দিতেও মনোনয়ন ফর্ম কিনেছেন৷ আর অনেকের মধ্যে নতুন করে প্রত্যাশাও সৃষ্টি হয়েছে৷
তিনি বলেন মনোনয়ন বঞ্চিত হলে বিদ্রোহী হওয়ার সম্ভাবনা কম৷ কারণ আমাদের দলের চেয়ারপার্সন জেলে৷ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশের বাইরে৷ তাই আমাদের একটা কমিটমেন্ট আছে৷ আমরা একটা সংকটের মধ্য দিয়ে নির্বাচনে যাচ্ছি৷ তাই আমার মনে হয় না কেউ বিদ্রোহী হবেন৷ যাঁকে মনোনয়ন দেয়া হবে, তাঁর জন্যই সবাইএক হয়ে কাজ করবেন বলে আমাদের আশাএদিকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তারা এরই মধ্যে দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশনা পেয়েছেন৷
এদিকে তাঁদের বলা হয়েছে, এই নির্বাচনকে সংকট থেকে উত্তরণের নির্বাচন হিসেবে গ্রহণ করতে৷ সেই বিবেচনা করে দল যাঁকে মনোনয়ন দেয়, তাঁর জন্য সবার কাজ করার নির্দেশনা আছে৷ বিএনপিও প্রার্থীদের নিয়ে জরিপ করেছে৷ কোন এলাকায় বিএনপির কোন প্রার্থী জনপ্রিয়, সেই তালিকা তাঁদের হাতে আছে৷জানা গেছে, মনোনয়ন নিয়ে যাতে দলে কোনো বিদ্রোহ না হয়, সেজন্য বেশ কয়েকটি কৌশল নিয়েছে বিএনপি৷ আর সেগুলো হলো :
১.একটি আসনের সব মনোনয়নপ্রত্যাশীকে ডেকে একসঙ্গে কথা বলে মনোনয়ন চূড়ান্ত করা
২.নির্বাচনকে দলের সংকট উত্তরণের একটি উপায় হিসেবে তুলে ধরা
৩. স্থানীয় জরিপে কার কী অবস্থান তা তুলে ধরা এবং
৪. দলের চেয়ারপার্সন এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সনের ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করার নির্দেশ জানিয়ে দেয়া
এদিকে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, প্রত্যেক আসনে প্রথম চার জন মনোনয়নপ্রত্যাশী কারা হতে পারেন তা তো আমাদের জানা আছে৷ এরপর আমাদের একটা পরিসংখ্যান আছে৷ আমরা যদি একটি আসনের মনোনয়নপ্রতাশীদের একসঙ্গে বসিয়ে সিদ্ধান্ত দিয়ে দেই তাহলে আশা করি বিদ্রোহী প্রার্থী কেউ হবেন না৷