১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

samakalnew24
samakalnew24
শিরোনাম:
ফরিদগঞ্জের প্রখ্যাত হোমিও ডাক্তার নারায়ণ চক্রবর্তীর... তাহেরপুরের তিনশত বছরের বৃক্ষের নাম আজো অজানা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রাণিসম্পদের বিকল্প নেই : ইউএনও... প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনী সড়ক দুর্ঘটনায় সংগীতশিল্পী পাগল হাসান সহ নিহিত-২ আহত-৩

মহাদেবপুর-ছাতড়া সড়ক খানাখন্দে ভরা; দূর্ভোগ চরমে

 নাজমুল হক নাহিদ,নওগাঁ, সমকালনিউজ২৪

নওগাঁর মহাদেবপুর-ছাতড়া সড়ক বর্তমানে খানাখন্দকে ভরপুর। সড়কের পিচ-খোয়া উঠে স্থানে স্থানে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্তের। সৃষ্টি হওয়া ছোট-বড় এই সব গর্ত এড়িয়ে যানবাহন চলছে এঁকে বেঁকে। প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। পথচারী ও গাড়ির যাত্রীদের দূর্ভোগ পৌঁছেছে চরমে।

জানা যায়, মহাদেবপুর উপজেলা সদরের আত্রাই বেইলি সেতু থেকে নিয়ামতপুরের ছাতড়া বাজার পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য ১৩কিলোমিটার। এর মধ্যে মহাদেবপুর উপজেলা সদর থেকে ছাতড়া বিলের কাঞ্চন ঘাট পর্যন্ত সড়কটির ১২কিলোমিটার অংশ মহাদেবপুরে পড়েছে এবং বাকি মাত্র ১কিলোমিটার অংশ নিয়ামতপুর উপজেলার মধ্যে পড়েছে। ২০০৪ সালে সড়কটির মহাদেবপুর অংশ কার্পেটিং করা হয়। এরপর ২০০৯-১০ অর্থবছরে সড়কটি সংস্কার করা হয়। এরপর গত ৯বছরে সড়কটি আর সংস্কার করা হয়নি।

ভূক্তভোগী বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, সড়কটির মহাদেবপুর অংশের পুরো ১২ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের অভাবে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। উপজেলার চান্দাশ ও খাজুর ইউনিয়ন, নিয়ামতপুরের চন্দননগর, ভাবিচা ও হাজিনগর এবং মান্দা উপজেলার ভালাইন ইউনিয়নের প্রায় এক লাখ মানুষের চলাচলের প্রধান সড়ক এটি। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় সড়কের অসংখ্য স্থানে পিচ-খোয়া উঠে ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব খানাখন্দের কারনে প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মহাদেবপুর-ছাতড়া সড়কের শাহজাদপুর, শিবগঞ্জ ঘাট, বাগডোব, চান্দাশ, কাঞ্চনসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়কের পিচ-খোয়া উঠে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে সড়কের জায়গায় জায়গায় অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে বৃষ্টির পানি জমে কাদা-পানি একাকার হয়ে রয়েছে। খানাখন্দে পানি জমে থাকায় যানবাহন চলাচলের সময় পানি ছিটকে উঠছে। এতে পথচারীর কাপড় নোংরা হতে দেখা গেছে।

উপজেলার বাগডোব গ্রামের বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক বেহাল থাকলেও তা সংস্কারে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না; অথচ সড়ক দিয়ে জেলা শহর ও মহাদেবপুর উপজেলা শহরে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। যাত্রীদের চরম ভোগান্তি নিয়ে চলতে হচ্ছে।

ইলেক্ট্রিক ব্যাটারি চালিত চার্জার ভ্যানচালক খবির উদ্দিন বলেন, ভাঙাচোরা রাস্তায় ভ্যান চালাতে গিয়ে দুই-একদিন পরপরেই নাটবল্টু নড়বড়ে হয়ে যায়। অনেক সময় নাটবল্টু খুলে পড়ে যায। ফলে সারাদিন ভাঙাচোরা রাস্তায় শক্তি ক্ষয় করে যে রোজগার করি, তার একটা অংশ ভ্যান মেরামত করতেই শেষ হয়ে যায়।

জেলার নিয়ামতপুর উপজেলার চন্দননগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বলেন, একদিকে ধুলাবালু, অন্যদিকে সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় কাদাপানি একাকার হয়ে যায়। সড়কটির কারনে এলাকাবাসী চরম বিপদে রয়েছে। কৃষিপণ্য বাজারে নিয়ে যেতে কিংবা জরুরি প্রয়োজনে জেলা শহর ও মহাদেবপুর উপজেলা সদরে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।

মহাদেবপুর এলজিইডির প্রকৌশলী সুমন মাহমুদ বলেন, সড়কটির সংস্কার কাজ শুরু হবে শিগগির। ইতোমধ্যে টেন্ডার আহ্বান করে ঠিকাদার নির্বাচন করা হয়েছে। বৃষ্টির কারণে ঠিকাদার কাজ শুরু করতে পারছেন না। তবে এ বছরের মধ্যেই সংস্কার কাজ শেষ হয়ে যাবে।

প্রতিদিনের খবর পড়ুন আপনার ইমেইল থেকে
Uncategorized বিভাগের সর্বশেষ
ওপরে