২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

samakalnew24
samakalnew24
শিরোনাম:
মহা পরিচালকের কৃষি অফিস পরিদর্শন; কর্মকর্তাদের সাথে... বকশীগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রারকে হত্যার হুমকি, ২২ জনের নামে... ফেইসবুকের প্রেমের টানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুবক... কালাইয়ে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত বরগুনায় ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত

মাদ্রাসা ছাত্র স্বাধীন হ’ত্যা মা’মলা ৫মাসেও আলোর মুখ দেখেনি

  সমকালনিউজ২৪

বগুড়া প্রতিনিধিঃ

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার বেলতলী হাফেজিয়া মাদ্রাসার মক্তব বিভাগের ছাত্র শেখ স্বাধীন (৯) হ’ত্যা মা’মলা ৫মাসেও আলোর মুখ দেখেনি বলে হতাশ ভুক্তভোগী স্বাধীন পরিবার। তদন্ত কর্মকর্তা বলছে তদন্ত কার্যক্রম অব্যহত। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে শ্বাসরোধে মাদ্রাসা ছাত্র স্বাধীনকে হ’ত্যার প্রমাণ মিলেছে। বর্তমানে মাদ্রাসাটি বন্ধ আছে এবং মাদ্রাসার মুহতামিম শহিদুল ইসলাম গা-ঢাকা দিয়েছে।

গত ১৬ জানুয়ারী সন্ধা ৭টায় উপজেলার কিচক ইউনিয়নের বেলতলী হাফেজিয়া মাদ্রাসার মক্তব বিভাগের ছাত্র শেখ স্বাধীন কে হ’ত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। মাদ্রাসার সংলগ্ন গাংনই নদীর দক্ষিণ তীরে মাদ্রাসা সীমানা প্রাচীরের পার্শ্বে ইউক্যালিপটাস গাছের নিচে থেকে ১৭জানুয়ারী সকালে স্বাধীনের লা’শ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরে শিবগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হ’ত্যা মা’মলা দায়ের করে নি’হত স্বাধীনের বাবা শাহ আলম শেখ। মা’মলাটির তদন্তের দায়িত্বভার দেওয়া হয় শিবগঞ্জ থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) তরিকুল ইসলামকে। সে প্রায় ২মাস মা’মলাটি তদন্ত করে কোন ক্লু উদঘাটন করতে পাওয়ায়। গত ১৪মার্চ বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে মা’মলাটি ক্রাইম ইনভেষ্টিগেশন ডিপাটমের্ন্ট (সিআইডি) বগুড়াকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়।

স্বাধীন হ’ত্যা মা’মলার বর্তমান তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক ফুয়াদ রুহানি এ প্রতিবেদক-কে বলেন, প্রায় ৩মাস হলো মা’মলাটি সিআইডিতে এসেছে। আমরা গুরুত্বসহ হ’ত্য রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছি। প্রায় ১০জনের কাছ থেকে স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

নি’হত স্বাধীনের বাবা শাহ আলম শেখ কান্নাজড়িত কন্ঠে এ প্রতিবেদক-কে বলেন, প্রায় ৫মাস অতিবাহিত হয়ে গেল আজও আমার ছেলে হ’ত্যার বিচার পাইনি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন এসেছে, আশা করি মা’মলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আমার ছেলের হ’ত্যাকারীদের খুঁজে বের করে বিচারের কাঠ গড়ায় দার করবে।

তিনি আরও বলেন, থানায় এজাহার করার সময় মুহতামিম শহিদুল ইসলামসহ মাদ্রাসা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ এজাহারে নামে উল্লেখ করতে চাইলে ওসি সাহেব আমাকে বলেন, আপনি পরেও তাদের নাম দিতে পারবেন এ কারনেই অজ্ঞাতনামা আসামি করে মা’মলা করতে হয়েছিল।

উল্লেখ্য ঘটনার দিন মাগরিবের নামাজ শেষে আমার ছেলে মাদ্রাসার অন্যান্য ছাত্রদের সাথে মক্তবে পরছিলো। মুহতামিম শহিদুলের অনুমতি নিয়ে আমার ছেলে মাদ্রাসার টয়লেটে যাওয়ার পরপরই মুহতামিম শহিদুলও বের হয়ে যায়। এর প্রায় ১৫মিনিট পরে মুহতামিম শহিদুল মাদ্রাসায় ফেরত আসলেও আমার ছেলে আর ফেরেনি। ঐ দিন সন্ধায় মাদ্রাসার কাজের বুয়া রহিমা রান্না করার জন্য মাদ্রাসায় এসেছিলো এবং ঐ মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক মোঃ গাজীউল ইসলাম ও কোষাধ্যক্ষ বুলু মিয়া রাত ১০টা পর্যন্ত মাদ্রাসায় অবস্থান করছিল।

প্রতিদিনের খবর পড়ুন আপনার ইমেইল থেকে
বগুড়া বিভাগের সর্বশেষ
ওপরে