মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, টাঙ্গাইল ::
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে নকল কেমিক্যাল কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র্যাব ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অভিযানের সময় বিপুল পরিমান নকল পন্য উদ্ধারসহ মালিককে গ্রে’ফতার করে তিন লাখ টাকা জরিমানা ও এক বছরের জেল দিয়ে কারখানা সিলগালা করা হয়েছে।
আজ সোমবার মির্জাপুর উপজেলা সদরের পৌরসভার বংশাই রোডের ত্রিমোহন স্যেলু ঘাট এলাকায় নকল কেমিক্যাল কারখানায় অভিযান পরিচালিত হয়।
টাঙ্গাইল র্যাব-১২ সিপিসি-৩ এর কোম্পানী কমান্ডার ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. রওশন আলী জানান, মির্জাপুর উপজেলার পৌরসভার বংশাই রোড স্যেলুঘাট এলাকার মো. তোফাজ্জল হোসেন (৬৫) নামে এক ব্যক্তি মেসার্স শাহিনুর কেমিক্যাল কোং নাম দিয়ে দেশী বিদেশী বিভিন্ন নামী-দামী কোম্পানীর নকল কেমিক্যাল তৈরী করে দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। নকল কেমিক্যাল কারখানায় তৈরী বিভিন্ন কেমিক্যালের গন্ধে এলাকার পরিবেশ বিষিয়ে উঠেছে। নকল কেমিক্যাল তৈরী করে মির্জাপুর, টাঙ্গাইল, জাশালপুর, শেরপুর, কালিয়াকৈর, গাজীপুর, সাভার, মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় সাপ্লাই দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। নকল কেমিক্যালের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন দেশী বিদেশী কোম্পানীর নামে ফিনাইল, টাইলস ক্লিনার, টয়লেট ক্লিনার, ফ্লোর ক্লিনার, গ্লাস ক্লিনার, পুটিং, ডিটারজেন্ট পাউডার, পাইপ ক্লিনার, ব্লিচিং পাউডার, পারফিউম ফিনাইল, ১০০০ মিলি ড্যামক্রাষ্ট, ৫০০ মিলি টাইলস ক্লিনার এবং ৭৫০ মিলি টয়লেট ক্লিনারসহ বিভিন্ন কেমিক্যাল পন্য।
এদিকে র্যাব-১২ সিপিসি ৩ এর সদস্য সঞ্জয় ও শামসুল আলম জানিয়েছেন গোপন সংবাদ পেয়ে আজ সোমবার টাঙ্গাইল র্যাব-১২ সিপিসি-৩ এর কোম্পানী কমান্ডার ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. রওশন আলী এবং মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আবদুল মালেক মোস্তাকিমের নের্তৃত্বে বেলা সারে এগারটার দিকে কারখানায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় বিপুল পরিমান নকল কেমিক্যাল পন্য ও যন্ত্রপাতি উদ্ধার করা হয়। এ সময় কারখানার মালিক তোফাজ্জল হোসেনকে গ্রে’ফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি কারখানায় তৈরী বিভিন্ন কোম্পানীর কেমিক্যাল তৈরীর বৈধ কোন কাগজপত্র ও পৌরসভার ট্রেড লাইসেন্স দেখাতে পারেনি। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেক মোস্তোকিম তাকে তিন লাখ টাকা জরিমনা ও এক বছরের জেল দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন। এছাড়া কারখানা সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেক মোস্তাকিম বলেন, উপজেলা সদর ও পৌরসভার মত একটি গুরুত্বপুর্ন এলাকায় অবৈধ কেমিক্যাল কারখানা গড়ে উঠায় এলাকার পরিবেশ হুমকির মুখে পরেছে। আজ সোমবার র্যাবের সহযোগিতায় অভিযানে কারখানার মালিককে গ্রে’ফতার করে তিন লাখ টাকা জরিমানা ও এক বছরের কারাদন্ড দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া নকল কেমিক্যাল কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।