আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন প্রচারমাধ্যমে ‘অপপ্রচার কিংবা ভুয়া নিউজ’ প্রকাশ করা হলে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাসহ যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রবিবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে বিটিআরসি, পুলিশ, সিআইডি, র্যাবসহ সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থা ও দফতরের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইসির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।
ইসি সচিব বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুয়া খবর ও অপপ্রচার ঠেকাতে আরও কঠোর হচ্ছে কমিশন। এক্ষেত্রে ফেক নিউজ বা অপপ্রচার হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলাসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। সে ব্যক্তি যেই হোক, কোনও ছাড় পাবে না।’
এ প্রসঙ্গে হেলালুদ্দীন আরও বলেন, ‘প্রশাসন ইতোমধ্যে ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং শুরু করেছে। ইসি আগামীকাল থেকে মনিটরিং শুরু করবে। এজন্য ইসির আইসিটি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে নিজস্ব মনিটরিং টিম করা হবে। তারা প্রশাসনের টিমের পাশপাশি কাজ করবে। এছাড়াও থাকবে গোয়েন্দা নজরদারি।’
ইসি সচিব বলেন, ‘সামাজিক মাধ্যমগুলো যেন নির্বাচনকেন্দ্রিক অপব্যবহার না হয়। কোনও প্রোপাগান্ডা যেন কেউ চালাতে না পারে, সে ব্যবস্থা নিতে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। কেউ প্রোপাগান্ডা চালালে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। এক্ষেত্রে আমরাও দেখবো ওনারাও দেখবে। তবে এসব বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য বিজ্ঞাপনও প্রচার করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কেউ যেন নির্বাচন নিয়ে কোনও ফেক নিউজ ছড়াতে না পারে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে কেউ যাতে ফেক নিউজ না করে সে বিষয়টিও আমরা সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখছি। ফেক নিউজের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান কঠোর।’
উল্লেখ্য, ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল ২৮ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই হচ্ছে ২ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর আর প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর।
এর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারণা ঠেকানোয় কোনও ব্যবস্থা না থাকলেও ভোটকে নিয়ে গুজব, অপপ্রচার হলেই নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর বিশেষ ইউনিট ইসির সম্মতিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলে সতর্ক করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
পাশাপাশি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গুজব, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র ঠেকাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ২৪ ঘণ্টা মনিটরিং করতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন পরিচালনাকারী সাংবিধানিক এই প্রতিষ্ঠানটি।