নাজিম হাসান,রাজশাহী সংবাদদাতা:
রাজশাহীর আম বাগানগুলো এখন মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত। তাই আমের রাজধানী রাজশাহীর আম চাষীরা মুকুলের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আম উপাদনে অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন এই অঞ্চলের চাষিরা। এছাড়া গাছগুলোতে প্রচুর পরিমাণে মুকুল এসেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও বিভিন্ন ধরনের পোকার আক্রমণ থেকে মুকুলগুলোকে রক্ষা করা গেলে রাজশাহী অঞ্চলে আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। থোকা থোকা অলংকারে সজ্জিত মুকুলের এমন দৃশ্য বাড়িয়ে দিচ্ছে প্রকৃতির অপরূপ-বৈচিত্র্য। আগাম জাতের কিছু আমের গুটি ফুটলেও অধিকাংশ গাছে মুকুলের সমরাহে ছেয়ে আছে। আমের ভাল ফলন পাওয়ার আশায় বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত এখানকার আম চাষীরা।তবে হঠাৎ করে মাঘের শেষে গুঁিড়গুঁড়ি বৃষ্টিতে বাগানের মুকুলের ক্ষতির আশংকা করছে এখান বাগানীরা। আকাশের মেঘাচ্ছন্ন ভাব আবহওয়ার এ বৈরী রূপ না কাটায় পোকা ও ছত্রাকের আক্রমণের আশংকা বাগানীদের কাটছে না। যদিও বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত না হয়ে আমের গুটি ফোটার আগে বালাইনাশক ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শ কৃষিবিদদের। মুকুল রক্ষার জন্য তারা বিভিন্ন কোম্পানীর কীটনাশক প্রয়োগ করছেন। তবে হোপার পোকা, ছত্রাকের আক্রমণ ও প্রতিকুল আবহাওয়ার শঙ্কায় তারা দুশ্চিন্তাই রয়েছেন। রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের দেয়া তথ্যানুযায়ী,এ অঞ্চলে প্রতি বছর প্রায় ৩শ’ জাতের আম উৎপন্ন হয়।এগুলোর মধ্যে এ বছর ভাদুরিগুটি,বনখাসা,আমরুপালী,ল্যাংড়া, গোপালভোগ,মোহনভোগ,ক্ষিরসাপাত,রাজভোগ,রানিভোগ,রানিপছন্দ,সিন্দুরা,সুবর্ণরেখা,কুয়াপাহাড়ি,নাকফজলি, ফজলি, চিনি ফজলি, সুরমাই ফজলি, চিনি মিসরি, জগৎমোহিনী, রাখালভোগ, রাঙাগুডি, গোবিন্দভোগ, তোতাপুরী, মিশ্রিকান্ত,জালিবান্ধা,সূর্যপুরী,কাঁচামিঠা,কলামোচা,শীতলপাটি,বোম্বাই,হিমসাগর,ফজলি,আম্রপলি,আশ্বিনা,বৃন্দাবনী লক্ষণভোগ,কালীভোগ, তোতাপরী,দুধসর,লকনা জাতের আমের চাষ বেশি হয়েছে। বৈশাখ মাসে আম পাকা শুরু হয় এবং আশ্বিন ও কার্তিক মাসের শেষ পর্যন্ত বাজারে সর্বশেষ আম পাওয়া যায়। দীর্ঘদিনের আম চাষি ঠাকুরপুকুর গ্রামের র্আলাউদ্দিন জানান,বিগত ২ বছর ধরে আমের ব্যবসায় ব্যাপক ভাবে লোকসান হচ্ছে। কারণ গত দু’বছরে ফলন ভাল হলেও আমের ভরা মৌসুমে পড়ছে রমজান মাস। আর এ কারণে আমের চাহিদা থাকে তুলনার চেয়ে একেবারেই কম।তবে দেশ-বিদেশে আমের যথেষ্ট চাহিদা সরকার প্রয়োজনীয় বাজার ব্যবস্তা নিলে বড় ধরনের লাভের হাতছানি দেখবেন তিনি।
সর্বশেষ
অর্থনীতি-ব্যবসা বিভাগের সর্বশেষ
অর্থনীতি-ব্যবসা বিভাগের আলোচিত