নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহীর ৬টি আসনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ১০টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া শুরু করেন রাজশাহীর রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদের। প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে নিজ নিজ এলাকায় প্রচার-প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন আ’লীগের নেতাকর্মীরা। মূলত নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দর শুরুর পরেই রাজশাহী জেলাজুড়ে মাইকের ঝাঁঝালো প্রচারণা শুরু হয়েছে।তবে জেলাজুড়ে বিএনপি প্রচার-প্রচারণা সোমবার বিকাল পর্যান্ত চোখে পড়েনি।এদিকে, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক এসএম আব্দুল কাদেরের হাত থেকে প্রথমে রাজশাহী-১ আসন থেকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয় বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী সাবেক মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আমিনুল হক রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে প্রতীক নেন। এরপর রাজশাহী-২ সদর আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনুর পক্ষে ধানের শীষ প্রতীক নেন সাবেক মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আমিনুল হক, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। রাজশাহী-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী শফিকুলের পক্ষে প্রতীক নেন ব্যারিষ্টার আমিনুল হক ও বুলবুল। ওই আসনে আ’লীগ প্রার্থী আয়েনের পক্ষে প্রতীক নেন তার নেতাকর্মীরা। রাজশাহী-৪ আসনে আবু হেনা নিজেই উপস্থিত থেকে প্রতীক নেন। আ’লীগ প্রার্থী এনামুল হকের পক্ষে প্রতীক নেন তার নেতাকর্মীরা। রাজশাহী-৫ আসনে নাদিম মোস্তফার পক্ষে প্রতীক নেন তার নেতাকর্মীরা ও রাজশাহী-৬ আসনে আবু সাইদ চাঁদের পক্ষে ধানের শীষ প্রতীক নেন তার মনোনীত নেতাকর্মীরা। ওই সব আসনে আ’লীগের প্রার্থী ও তাদের নেতাকর্মীরা প্রতীক নেন। বিএনপি ও আ’লীগ ছাড়াও অন্যান্য এমপি প্রার্থী রিটার্নিং অফিসারের কাছ থেকে নিজ নির্বাচনী প্রতীক নেন।এবিষয়ে ইসি সচিবালয়ের নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান জানান, সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা চূড়ান্ত প্রার্থীদের আজ প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার পর প্রার্থী এবং তার সমর্থকরা নির্বাচনী এলাকায় প্রচার প্রচারণা চালাতে পারবেন। তিনি জানান, প্রচারের সময় আচরণ বিধিমালা লঙ্ঘন ঠেকাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ইসি ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছে। পাশাপাশি ভোটের মাঠে রয়েছে ১২২টি নির্বাচনী তদন্ত কমিটি (ইলেক্ট্রোরাল ইনকোয়ারি কমিটি)। এসব কমিটির কাছে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা নির্বাচনী অপরাধ ও আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ জানাতে পারবেন। ফরহাদ আহাম্মদ জানান, ভোটগ্রহণ শুরু ৩২ ঘণ্টা আগে বন্ধ করতে হবে। অর্থাৎ ২৮ ডিসেম্বর মধ্যরাত ১২টা থেকে প্রচারণা বন্ধ থাকবে। সে হিসেবে এবার প্রার্থীরা ১৯ দিন প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন।#
সর্বশেষ
জাতীয় বিভাগের সর্বশেষ
জাতীয় বিভাগের আলোচিত