মহিবুল ইসলাম,রাজশাহী থেকেঃ
রাজশাহীতে সরকারি অনুমতি না নিয়ে ক্ষমতার দাঁপটে রেলওয়ে পুকুর ভরাট চলছে। সরকারিভাবে পুকুর ভরাট নিষিদ্ধ থাকলেও কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে নগরীর বিলসিমলা বন্ধগেট এলাকায় পুকুর ভরাট চলছে। ইতিমধ্যে পুকুরটির বেশকিছু অংশ বালু ও রাবিষ দিয়ে ভরাট করা হয়েছে।
তবে পুকুরের মালিক আন্জু তিনি মারা জাবার পর থেকে এলাকার কিছু ব্যাক্তি পুকুর টি নিজেদের ফায়দা করার জন্য সুকৌশলে ভরাট করছে।
জমিটির পুকুর রেলওয়ের ছিল। তাই ভরাট করা হচ্ছে। গতকাল সরেজমিন দেখা যায়, পশ্চিম দিকের রাস্তার পাশের পুকুরটি ভরাট করার জন্য বালু ফেলার কাজ চলছে। রাস্তার পাশে ট্রাক থেকে বালু ফেলে রাখা হয়েছে। সেই বালু কয়েকজন শ্রমিক পুকুরে ফেলে ভরাট করছেন।
এলাকাবাসীরা জানান যে, লম্বা আকৃতির পুকুরটির এক পাশে অনেক আগেই ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। যেটুকু বাকি আছে, তারও অর্ধেকটা ভরাটের কাজ চলছে। পরিবেশ অধিদফতরের প্রাকৃতিক জলাধার সংরক্ষণ আইন ২০০০ অনুযায়ী মাস্টার প্ল্যানের আওতাধীন প্রাকৃতিক জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গার শ্রেণী পরিবর্তন করা যাবে না। যদি পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়।
তবে জায়গার মালিক প্রস্তাবিত পরিবর্তনের কারণ উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। কোনো আবেদন বা অনুমোদনের তোয়াক্কা না করেই ওই পুকুর ভরাট করা হচ্ছে।
পুকুর ভরাটের ওই স্থানের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লতিফুল ও তার ছোট ভাই আওয়ামী লীগের নাম ব্যাবহার করে খমতার দাপটে পুকুরটি ভরাটের কাজ করে যাচ্ছে । আরো জানাযায় লাতিফুল শাহিন ও মিম এলাকায় সন্ত্রাসী কার্য কলাপ করে বেরায়। তাদের দপটে এলাকার সাধারণ কোন লোক কথা বলার সাহস পায়না। তাদের দু’জন ইতিমধ্যে ভরাট করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন। আস্তে আস্তে অন্যরাও ভরাট করছেন।
কার জায়গা জানতে চাইলে তিনি বলেন যে আন্জু কমিশনার এই পুকুরটি দেখাসোনা করতো। আসলে পুকুরটি রেলওয়ের সম্পত্তি। পুকুর টির পশ্চিম পাশে একটি মসজিদ আছে। আসে পাসে অনেক স্থাপনা আছে এভাবে পুকুর ভরাট হলে পরিবেশ নষ্ট হয়।আগুন লাগলে পানির প্রয়যোন হবে তাই পুকুর গুলো নষ্ট করা ঠিক না।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে রাজশাহী সিটি করপোরেশন বা আরডিএ থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি বলে স্বীকার করেন এলাকা বাসী।
যেহেতু বাংলাদেশ রেলওেয়ের সম্পত্তি তাই এই পুকুর ভরাট করতে হলে রেলওেয়ের অনুমতি অবশ্যই লাগবে কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে একক আদি পৈত্ত চালিয়ে পুকুরটি ভরাট করছে মসজিদের মুসুল্লিরা অনতি লম্বে এমন নেক্কার জনক কাজের তিব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তার এ পুকুরটি বাঁচিয়ে রাখতে রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করছেন। এসব কাজ যারা করছে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে এসে শাস্তি দাবী করেন।
রেলওয়েরর পশ্চিম ম্যানেজার জানান, মাস্টার প্ল্যানের মধ্যে থাকা কোনো পুকুর ভরাট করতে হলে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে আবেদন করতে হবে। অনুমতি না নিয়ে পুকুর দখল ভরাট রেলওয়ের আইনে দন্ডনিয় অপরাধ। এ বিষয়ে ব্যাবস্তা গ্রহন করা হবে বলেও জানান তিনি।