আগামী ২৪ মার্চ তৃতীয় ধাপে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রথমবারের মত দলীয় প্রতিকে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচন সামনে রেখে অতীতের দ্বন্ধ-কলহ ও দীর্ঘদিনের সব দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে রাজাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে বিজয়ী হওয়ার লক্ষ্যে একজোট হয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন দলীয় নৌকা প্রতীক পাওয়া বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোঃ মনিরউজ্জামানের পক্ষে। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের নেতাকর্মীরা প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিতে শুরু করেছেন তারা এলাকায় বর্ধিত সভা, উঠান বৈঠক করে দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতিও। আ.লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিলিতভাবে নৌকার পক্ষে ভোট চাইছেন।
শুধু তাই নয়, স্থানীয় বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নৌকায় ভোট চাইতে শুরু করেছেন। এদিকে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে একমাত্র দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হোসেন শহীদ জিলানী ওরফে মিলন মাহমুদ বাচ্চু বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে মাঠে নেমেছেন।
তবে এদিকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নবঞ্চিত নেতারা পূর্বের সকল দ্বিধা-দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে দলের দেয়া নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করার লক্ষে কোমর বেধে মাঠে নেমেছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতারা জানান, তৃণম‚লের মতামতের ভিত্তিতেই ত্যাগী, দক্ষ ও যোগ্য ব্যক্তিকে দলীয় প্রতীক নৌকার মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তাদের সঙ্গে আলাপকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে গভীর উদ্ভেগের কথা জানান।
আ.লীগ মনোনীত দলীয় প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মোঃ মনিরউজ্জামান বলেন তৃণমূল পর্যায়ে শেখ হাসিনার সরকারের ১০ বছরের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে ভোট চাওয়া হবে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার বার্তা ইতোমধ্যেই সারা উপজেলার মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে। ফলে আওয়ামী লীগের জন্য উপজেলা নির্বাচনের মাঠ অন্যবারের তুলনায় এবার অনেক বেশি গোছানো বলে মনে করছেন তিনি। বিদ্রোহী প্রার্থীর নির্বাচনে অংশগ্রহন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন এর পেছনে রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র তবে এখনো এ বিষয়ে কথা বলার সময় আসেনি।