গাজীপুরের শ্রীপুরকে বলা হয় আওয়ামী লীগের ঘাটি। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল আওয়ামী লীগ ও দলের প্রতীক নৌকার প্রতি আবেগ ও ভালবাসা যেন শ্রীপুরের প্রতিটি জনগণের। প্রতিটি নির্বাচনেই যেন তার প্রতিফলন ঘটে। ব্যতিক্রম হচ্ছে না এবারেও। সাধারণ জনগণের আস্থাভাজন হওয়ায় দ্বিতীয় বারের মত এবারও আব্দুল জলিলকে বেঁছে নিয়েছে দলটি। এটাতেই যেন বাজিমাত। গত কয়েকদিন ধরেই রব উঠেছে আব্দুল জলিলকে নিয়েই। অনেকটা জোয়ারে ভাসছে নৌকা।
১৯৮৮ সালে ছাত্রলীগের মাধ্যমে রাজনীতিতে হাতেখড়ি হওয়া আব্দুল জলিল তিনবার নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন তেলিহাটি ইউনিয়ন পরিষদে। পরে ২০১৪ সালে নির্বাচিত হন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে। ভূবন ভোলানো হাসি ও সরলতার জন্য তৃণমূলের জনগণের আস্থাভাজন হওয়ায় বরাবরই নির্বাচনের মাঠে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেন তিনি।
শ্রীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মন্ডল বুলবুল জানান, বঙ্গবন্ধু, আওয়ামী লীগ, শেখ হাসিনা ও নৌকা একই সূত্রে গাঁথা। এর মধ্যে একটি বাদ দিলে কেউ প্রকৃত আওয়ামী লীগ হিসেবে নিজেকে দাবি করতে পারে না। শ্রীপুরের মানুষের নৌকার প্রতি রয়েছে আবেগ ও ভালোবাসা। এটাই হয়ে উঠবে জয়-পরাজয়ের নিয়ামক।
গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল আলম রবিনের মতে, যেখানেই যাচ্ছি নৌকার পক্ষে গণজোয়ার তৈরী হচ্ছে। নানা ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্যই নৌকার বিজয়ের জন্য কাজ করছি। ইনশাল্লাহ আমাদের বিজয় নিশ্চিত।
পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সমগ্র উপজেলার মানুষের দুঃখ-কষ্ট দূর করতে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আব্দুল জলিল বলেন, দেশরত্ন শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ ও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গঠনে ভূমিকা রাখতেই উপজেলা চেয়ারম্যান হতে চাই দ্বিতীয়বারের মত।
আগামী ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। এই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মাঠে রয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট শামসুল আলম প্রধান। এই দু’জন ছাড়াও নির্বাচনে আম প্রতীক নিয়ে এনপিপির হাবিবুর বাশার প্রার্থী হয়েছেন। এখানে পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।