একাদশ জাতীয় সংসদের জন্য আজ মঙ্গল বার নকাল থেকে সংরক্ষিত নারী আসনের (৪৩টি) জন্য মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা ফরম সংগ্রহ করা শুরু করেছেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের মনোনয়ন ফরম বিক্রি উদ্বোধন করেন। ফরম সংগ্রহকারীদের সুবিধার্থে আটটি বিভাগের জন্য আটটি বুথ খোলা হয়েছে এবং প্রতিটি মনোনয়নের ফরমের মূল্যা রাখা হয়েছে ৩০ হাজার টাকা করে।
এর আগে গত সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ জানান, আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি ৫০ আসনের বিপরীতে সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য তফসিল ঘোষণা করা হবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত আসন অনুযায়ী সংরক্ষিত ৫০টি আসনের মধ্যে ৪৩টি আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ৪টি, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ১টি এবং স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দল মিলে ২টি আসন পাবে। তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত এমপিরা এখনও শপথ নেয়নি। ফলে সংরক্ষিত নারী আসনে তাদের মনোনয়ন দেয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
এদিকে বিরোধী দলীয় নেতা এরশাদ চারজনের একটি তালিকা করে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে চিঠি দিয়েছেন। তারা হলেন- পারভীন ওসমান (নারায়ণগঞ্জ), ডা. শাহীনা আক্তার (কুঁড়িগ্রাম), নাজমা আখতার (ফেনী) ও মনিকা আলম (ঝিনাইদহ)।
জাতীয় সংসদ (সংরক্ষিত মহিলা আসন) নির্বাচন আইন, ২০০৪ অনুযায়ী-‘সংসদের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হওয়ার তারিখের পরবর্তী ত্রিশ কার্য দিবসের মধ্যে সংবিধানের ৬৫ অনুচ্ছেদের (৩) দফার অধীন সংরক্ষিত নারী আসনে নির্বাচনের উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশন সাধারণ আসনে নির্বাচিত সদস্যদের রাজনৈতিক দল বা জোটওয়ারী সদস্যদের পৃথক পৃথক তালিকা প্রস্তুত করবে।
গত ২ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের নবনির্বাচিত এমপিদের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। পরে ৩ জানুয়ারি এমপিরা শপথ নেন। গত ৭ জানুয়ারি শপথ নেন নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
সংসদের সাধারণ আসনে নির্বাচিত সংসদ-সদস্য হিসাবে শপথ গ্রহণকারী সকল ব্যক্তি সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনে ভোটার হবেন।
সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হওয়ার এবং সংসদ-সদস্য থাকার জন্য সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে উল্লিখিত যোগ্যতাসম্পন্ন যেকোনো নারী সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী হতে পারবেন।